মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের ৫ মে সমাবেশে নৃশংসতা, আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম-খুনের বিচারসহ চার দফা দাবিতে আবারও সরব হেফাজতে ইসলাম। এরই অংশ হিসেবে ৩ মে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে অরাজনৈতিক এ সংগঠনটি। হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মতিঝিলের শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশে হত্যাযজ্ঞ, আওয়ামী লীগ আমলে গুম-খুনের বিচার, সব মামলা প্রত্যাহার, গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার এবং সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস্থা ও পূর্ণ বিশ্বাস ফের সংযুক্ত করার দাবিতে ৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশ হবে। জানা যায়, গত ২৮ মার্চ ঢাকার জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসায় হেফাজতের কেন্দ্রীয় বিশেষ কমিটির জরুরি সভায় মহাসমাবেশের সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন ইসলামী দলের সঙ্গে বৈঠক করবে হেফাজতে ইসলাম। চলমান বিভিন্ন ইস্যুতে সম্প্রতি বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেছে হেফাজতে ইসলাম। বৈঠকে উভয় সংগঠনের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। দীর্ঘ আলোচনার পর বিএনপিকে লিখিত আট দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে তারা।
২৫ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে জেলা ও থানায় স্থানীয় নেতা-কর্মী এবং ওলামায়ে কেরাম গণসংযোগ কর্মসূচি ডেকেছে হেফাজত। ২৫ এপ্রিল ও ২ মে সারা দেশের প্রতিটি মসজিদে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের ‘প্রস্তাবনার অসারতা ও সংশ্লিষ্ট’ বিষয়ে মুসলিম আইন জাতির সামনে তুলে ধরা হবে।
হেফাজত যেসব বিষয় সামনে রেখে এগোবে সেগুলো হচ্ছে- সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ বহাল রাখা এবং ‘বহুত্ববাদ’ শব্দ না ঢোকানো। শাপলা চত্বরে ও জুলাই-আগস্টের গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচারকাজ দ্রুত শুরু করতে হবে। ট্রাইব্যুনালের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের গণহত্যা এবং ২০২১ সালে মোদিবিরোধী আন্দোলনে চালানো হত্যাকাণ্ডের বিচার। শাপলা চত্বরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হেফাজতের আলেম-ওলামা ও কর্মী-সমর্থক ছাড়াও বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকেও আসামি করা হয়েছিল। সেই মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার বা নিষ্পত্তি করার ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে রাখা। হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, হেফাজতে ইসলাম দেশ ও ইসলামের জন্য কাজ করছে, আগামীতেও করবে। ইসলামের মৌলিক বিধিবিধানের বিরুদ্ধে কোনো চাপিয়ে দেওয়া মতবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।