‘ওয়াহিদ, কাদের, মাহফুজ শহীদদের-আমরা তোমায় ভুলি নাই’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে গতকাল যথাযথ মর্যাদায় বড়াইবাড়ী দিবস পালিত হয়। ২৫ বছর আগে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ী সীমান্তে তৎকালীন বিডিআর সদস্য ও গ্রামবাসীর সঙ্গে বিএসএফ সদস্যদের সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। দিনটি উপলক্ষে গতকাল এলাকাবাসীর উদ্যোগে সকাল ১০টায় বড়াইবাড়ী সীমান্তে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, র্যালি, দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সাবেক এমপি রুহুল আমিন। বক্তব্য রাখেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমান বীরপ্রতীক (অব.) কর্নেল মো. জয়নাল আবেদীন (অব.), কর্নেল মো. জাকারিয়া হোসেন (অব.), লে. লেখক সাংবাদিক আবু রুশদ (অব.), মেজর মো. জামাল হায়দার (অব.), মেজর মো. আবদুর রব (অব.), বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. তসলিম উদ্দিন, জেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ মো. আজিজুর রহমান, রাজীবপুর উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক মো. মোখলেছুর রহমান, প্রধান শিক্ষক মো. আহসানুল হক সাদা, মো. রেজাউল ইসলাম রিজু ও ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী ও বিডিআরের ৪০ জন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, স্থানীয় সামাজিক সংগঠন, সাংবাদিক ও সহস্রাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি কর্নেল মো. জয়নাল আবেদীন (অব.) বলেন, দেশপ্রেমিক বিজিবির আটজন সদস্য এলাকাবাসীর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সেদিন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে পরাজয়বরণ করতে বাধ্য করেছিলেন। সেই সাহসী ভূমিকা ও ঐক্যবদ্ধতা ধরে রেখে সীমান্তে নজর রাখতে হবে। যাতে কেউ অন্যায়ভাবে চোখ তুলে তাকাতে না পারে। লে. লেখক সাংবাদিক আবু রুশদ (অব.) বলেন, ষোল বছর একটা সরকার ছিল তখন সেনাবাহিনীদের মূল্যায়ন করত না এবং আমার অফিসারদের কোনো দিবস তেমনভাবে পালন করতে দিত না। তারা ভারত কর্তৃক নতোজানু ছিল। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে আমাদের চাপ দিত তাই এই বড়াইবাড়ী দিবসটিতে আসতে পারিনি। এখন সেই পরিবেশ নেই তাই আমরা অংশ গ্রহণ করেছি। এ সময় সাবেক সেনা কর্মকর্তারা বড়াইবাড়ী দিবসকে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যদের বীরের মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানান। প্রসঙ্গ, ২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ বড়াইবাড়ী গ্রামে প্রবেশ করে নারকীয় তাণ্ডব চালায়। এতে বিডিআর ও গ্রামবাসী একত্র হয়ে বিএসএফকে প্রতিরোধ করে। একপর্যায়ে ব্যর্থ হয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এতে নিহত হয় বাংলাদেশের তিন বীর বিডিআর জওয়ান। এ সময় ভারতীয় পক্ষে নিহত হয় ১৬ বিএসএফ সদস্য। সেই থেকে ঐতিহাসিক এই দিনটিকে পালন করা হয় ‘বড়াইবাড়ী দিবস’ হিসেবে। এ দিবসটি সরকারিভাবে স্বীকৃতি না দেওয়ায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। তবে বক্তারা দ্রুত দিবসটিকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়ার আশ্বাস দেন।
শিরোনাম
- ৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
- সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
- আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
- শিশুসন্তানের সামনেই মাকে কোপাল সন্ত্রাসীরা, অভিযুক্ত গ্রেফতার
- সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
- ১৬ বছরে শিক্ষা খাতকেও দলীয়করণ করা হয়েছে: খোকন
- বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে বিএনপির শুভেচ্ছা
- প্রথমে স্থানীয়, পরে জাতীয় নির্বাচন চায় জামায়াত
- স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে
- শিবচরে ইয়াবা ও ককটেল উদ্ধার
- আ. লীগ নেতার চাঁদা আদায় আড়াল করতে বিএনপির নেতার নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ
- আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
- লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
- বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
- যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
- গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া একটি লেমুর উদ্ধার, গ্রেফতার ১
- গাইবান্ধায় বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন
- এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০
- জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
- অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
বড়াইবাড়ী দিবসকে জাতীয় স্বীকৃতির দাবি এলাকাবাসী ও সাবেক সেনাদের
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর