আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে তিন কারণে বাজটের আকার ছোট করা হচ্ছে। কারণগুলো হলো- রাজস্ব আদায় কম, বৈদেশিকসহায়তা কমে আসা এবং কাঙ্ক্ষিত হারে বাস্তবায়ন না হওয়া। আসছে বাজেটের আকার হতে পারে ৭ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকা। যেখানে চলতি বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। চলমান অর্থনৈতিকসংকট বিবেচনায় নিয়ে আগামী বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হতে পারে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ, মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। গতকাল সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে আর্থিক ও আর্থিক মুদ্রার বিনিময় হারসংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল এবং বাজেট ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত কমিটির সভায় এসব বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় পরিকল্পনা, বাণিজ্য উপদেষ্টা, এনবিআর চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের একটি সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে। বৈঠকটি অনলাইন মাধ্যম জুম প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, আগামী অর্থবছরে বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হলেও পরবর্তী তা বাড়িয়ে ৮ লাখ কোটি টাকার ঘরে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী মে মাসে বাজেটের আকার চূড়ান্ত করা হবে। এবারের বাজেটে মোট জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হতে পারে ৬৩ লাখ ১৫ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা। আর বাজেটঘাটতি ধরা হতে পারে জিডিপির ৪ দশমিক ১ শতাংশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে (এনবিআর) সরকারের আয়ের লক্ষ্য হতে পারে ৫ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকার মতো। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এদিকে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) জন্য সরকার আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে পারে। যা চলতি অর্থবছরে রয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এটি এই অর্থবছরের কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের দ্বিতীয় সভা, এর আগে গত বছরের (২০২৪) ২ ডিসেম্বর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাজেটের এসব অঙ্ক ও নীতি ঠিক করার আগে আরও একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যার চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।