রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। তিনি সরাসরি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অপসারণ চেয়ে একটি ‘অন্তর্বর্তী প্রশাসন’ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে, রুশ সেনাদেরকে ইউক্রেনের যেকোনো সামরিক প্রতিরোধকে নির্মূল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রত্যাবর্তনের পর ওয়াশিংটন-মস্কোর সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের কিয়েভের প্রতি সমর্থন কমিয়ে দেওয়ার হুমকির ফলে পুতিন আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন। তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলমান এই যুদ্ধে দুই পক্ষেরই বহু সেনা নিহত হয়েছে।
শুরু থেকেই রাশিয়া দাবি করে আসছে, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত এবং তাদের সামরিক শক্তিবৃদ্ধি যুদ্ধের মূল কারণ। মস্কো মনে করে, জেলেনস্কির কূটনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত ইউক্রেন ও ইউরোপের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ফাটল তৈরি করেছে।
পুতিন বলেছেন, আমরা ইউক্রেনে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে পারি। এই প্রশাসনের মূল লক্ষ্য হবে গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজন করা, যা জনগণের আস্থাভাজন একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করবে এবং শান্তি আলোচনার মাধ্যমে বৈধ সমঝোতা স্বাক্ষর করবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছি। যদিও কিছু মানুষের চেয়ে আমাদের গতি ধীর, তবে আমরা নিশ্চিতভাবে আমাদের লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্সির প্রধান কর্মকর্তা আন্দ্রি ইয়েরমাক বলেছেন, রাশিয়া শান্তি আলোচনাকে ব্যাহত করতে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি প্যারিসে ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সমর্থনের আহ্বান জানালেও বৈঠকের পর বলেছেন, আমার কাছে অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে, কিন্তু উত্তর খুবই কম পেয়েছি।
বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধের মোড় আরও কঠিন দিকে মোড় নিতে পারে। ইউরোপীয় দেশগুলোর সম্ভাব্য সামরিক হস্তক্ষেপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগত পরিবর্তন যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল