কোরিয়ান পপুলার মিউজিক বা ‘কে-পপ’ এর কঠোর প্রতিযোগিতা নিয়ে মুখ খুললেন দক্ষিণ কোরীয় পপ ব্যান্ড বিটিএস গ্রুপের দলনেতা আরএম।
তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘কে-পপ’ তারকারা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য বছরের পর বছর কঠোর প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যান। এমনকি অভিষেকের পরেও তারা নিজেদেরকে ওই প্রতিযোগিতার দিকে ঠেলে দেন। এই ব্যবস্থা সম্পর্কে আপনার মতামত কী?”
বিষয়টি নিয়ে কথা বলায় তেমন আগ্রহ দেখালেন না বিটিএস দলনেতা আরএম। তিনি বলেন, “আমি যখন এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিই আমার কোম্পানি তা পছন্দ করে না। কারণ এ ব্যাপারে আমি খুব অল্প জ্ঞান রাখি। আবার দেখা যায়, কিছু সাংবাদিক শিরোনাম লিখে ফেলবেন- ‘আরএম এটিকে ভয়ঙ্কর ব্যবস্থা আখ্যা দিয়েছেন এবং বলেছেন এটি তরুণদের ধ্বংস করে!’ অথচ আমার মতে এটি একটি নিজস্ব পন্থা। যে ব্যবস্থা অনন্য একটি শিল্পকে গঠনে ভূমিকা পালন করেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চুক্তির শর্তাবলী এবং প্রশিক্ষণ পদ্ধতির মতো বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।”
এরপর তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, “কে-পপের তারুণ্য, পরিপূর্ণতার প্রতি আবেশ এবং ক্রমাগত উত্তেজনা কি কোরিয়ান সংস্কৃতির জন্য অনন্য কিছু?”
জবাবে কোরিয়ার অতীত, বর্তমান এবং আজকের অতি-প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতার পেছনের ইতিহাসের গুরুত্ব সম্পর্কে তুলে ধরেন আরএম।
তিনি বলেন, “পশ্চিমারা বুঝতে পারে না। কোরিয়া এমন একটি দেশ যেখানে আক্রমণ হয়েছিল, ধ্বংস করা হয়েছিল এবং তারপর দেশটিকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছিল। মাত্র ৭০ বছর আগে আমাদের কিছুই ছিল না। আমরা এমন একটি দেশ ছিলাম যার আইএমএফ এবং জাতিসংঘের সাহায্যের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এখন, আমরা এমন একটি জাতি যা পুরো বিশ্ব দেখছে। এটা কীভাবে সম্ভব হয়েছিল? কারণ মানুষ এগিয়ে যাওয়ার জন্য পাগলের মতো কাজ করেছে। তারপর ফ্রান্স বা যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলো, যারা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে অন্যদের উপনিবেশ করে আসছে, তারা এখানে এসে বলে- বাহ... তোমরা নিজেদের ওপর খুব বেশি কঠোর। কোরিয়ার জীবন এতটাই চাপের!” সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
বিডি প্রতিদিন/একেএ