যশোরের কেশবপুরে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মনিরুল ইসলাম (৪২) নামে এক যুবদল কর্মী খুন হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিনজন। তাদের কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে কেশবপুর উপজেলার সরসকাটি বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুবদল কর্মী মনিরুল ইসলাম মারা যান। সংঘর্ষে আহত কাশেম গাজী, জাকির হোসেন ও মিজানুর রহমানকে কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আহতরা জানান, পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে কেশবপুর উপজেলার বরণডালি গ্রামের মশিয়ার গাজীর ছেলে রেজা হাসান সবুজ ও সামসুর রহমানের ছেলে রুবেল সালাউদ্দিনসহ ৬-৭ জন যুবক যুবদল কর্মী মনিরুল ও তার লোকজনের ওপর হামলা করে। এসময় তারা লোহার রড দিয়ে মনিরুলের মাথায় আঘাত করে মনিরুল গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে মৃত্যু হয় তার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সংঘর্ষের পরপরই এলাকাবাসী ধাওয়া করে সবুজ, লিটন ও সালাউদ্দিনকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে স্থানীয় চিংড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই শামীম ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তিনজনকে হেফাজতে নিয়ে থানায় পাঠান।
কেশবপুর থানার ডিউটি অফিসার লিটন চন্দ্র দাস জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় মঙ্গলবারই তিনজনকে আটক করা হয়েছিল। আহতদের মধ্যে একজন বুধবার সকালে মারা যাওয়ায় এ ব্যাপারে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম