নড়াইলের লোহাগড়ায় মেয়ের বাবাকে না জানিয়ে বিয়ে দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হন মেয়ের বাবা। আর এ ঘটনা পরবর্তীতে রূপ নেয় সংঘর্ষে, উভয় পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।শনিবার (১৫ জুন) দিনগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের চাচই গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন মেয়ের বাবা চাচই গ্রামের বাসিন্দা শরিফুল জমাদ্দার (৪৫), মনির হোসেন ( ৪০), তানভীর হোসেন (৩৩), শিমুল শিকদার (৩২), রুমি মোল্যা (৪০) ও সুমি মোল্যা ( ৩৮) জিয়ারুল ইসলাম (৩০)। তারা সকলেই লোহাগড়া উপজেলার চাচই গ্রামের বাসিন্দা। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরিফুলের ছোট মেয়ে ইতির গত সপ্তাহে বিয়ে সম্পন্ন হয় মামা মামুন মোল্যা ও বিপুল মোল্যার মতামতে। ইতির বাবার মতামত না নিয়েই বিয়ে দেয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। ইতির বিয়ে দেয়াকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় জমাদ্দার বংশ ও মোল্যা বংশের মধ্যে কথাকাটাকাটি শেষে হয় হাতাহাতি হয়। পরেরদিন শনিবার সন্ধ্যায় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব মেটাতে জয়পুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এম এম শরিফুল আলম এবং আকতার হোসেনের উপস্থিতিতে চাচই এলাকায় সালিশ বসে।সালিশের এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। পরবর্তীতে উভয় গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৭ জন আহত হন। পরে ঘটনাস্থলে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হলে মেয়ের বাবা শরিফুল, জিয়ারুল ও শিমুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শরিফুল ইসলাম আরও বলেন, এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত রয়েছে। পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। ঘটনার তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ