উত্তারাঞ্চলের বড় দিনাজপুরের গাবুড়া গ্রীষ্মকালীন টমেটোর বাজার এখন জমজমাট। তবে গতবারের চেয়ে এবার টমেটোর বাজার দর কম। সার, কীটনাশকসহ উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় আগের মত সুবিধা করতে পারছেন না বলে জানান কৃষকরা। এরপরেও টমেটোর বাজারে সকাল থেকেই চলছে কেনাবেচা। সড়কের দুপাশে ভ্যানগাড়ি, ট্রাক, মোটরসাইকেল, পিকআপ ভ্যান আর টমেটো বিক্রেতা-ক্রেতারা।
কৃষকদের কাছ থেকে দেশে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা টমেটো কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এই বাজার থেকে। চলছে ট্রাকে লোড-আনলোড। ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, নারায়গঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ট্রাকে করে টমেটো যাচ্ছে। প্রতিদিন দেড় থেকে দুই কোটি টাকার টমেটো কেনাবেচা হয় এই বাজারে। দেশের প্রায় সব জেলার টমেটো ব্যবসায়ীর কাছে পরিচিতি পেয়েছে গাবুড়া বাজারটি। কেনাবেচা প্রতিবছর মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়ে চলে জুনের শেষ পর্যন্ত। টমেটো কিনতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫০ থেকে ৩০০ জন পাইকার আসেন। মৌসুমের পুরো সময় তারা দিনাজপুরেই থেকে যান।
প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু হওয়া টমেটো বাজার চলে বেলা ১২টা পর্যন্ত। কৃষকরা ক্ষেত থেকে টমেটো সংগ্রহ করে খাঁচায় সাজিয়ে বাইসাইকেল-ভ্যানে বিক্রির জন্য নিয়ে আসে এই হাটে। আর পাইকাররা কৃষকদের কাছ থেকে এসব টমেটো কিনে বাক্স করে ট্রাক বোঝাই টমেটো নিয়ে ঢাকা, চট্রগ্রাম, ফরিদপুর, কুমিল্লা, নারায়নগঞ্জ, শরিয়তপুর, মাদারীপুরসহ নিয়ে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রকার ভেদে প্রতি মন টমেটো কৃষকদের কাছ থেকে কিনছেন সাড়ে ৩৫০ টাকা থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা দরে। প্রতিদিন এই টমেটো বাজার থেকে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ৫০ থেকে ৭০টি ট্রাক। তবে কৃষি উপরনের দাম বৃদ্বি পাওয়ায় টমেটোর দাম নিয়ে খুশি না কৃষকরা।
পরিবহন খরচ বেশি পড়ায় লাভ কম তবে প্রতিদিন এই বাজারে ২ কোটি টাকার টমেটো বেচাকেনা হয় জানালেন পাইকারা।
দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে এবার ১ হাজার ৭৪৬ হেক্টর জমিতে টমেটো আবাদ হয়েছে এর মধ্যে নাবি জাতের ৯২৫ হেক্টর।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ আনিসুজ্জামান জানান, ফলন ভাল হওয়ায় এবারও কৃষকরা ভালই দাম পাচ্ছেন, মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ