চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও ডিলারের কাছে কাক্সিক্ষত সার পাচ্ছেন না আমন চাষিরা। এতে বিপাকে পড়েছেন তারা। সারের অভাবে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কৃষকদের অভিযোগ, অনেকেই বাগান ও পুকুরে অতিরিক্ত সার ব্যবহার করেছেন। এ কারণে সার সংকট দেখা দিচ্ছে। উপজেলার সর্বত্রই ইউরিয়া, টিএসপি ও ডিএপি সার সংকট চলছে। গোমস্তাপুর উপজেলার রংপুর এলাকার কৃষক আবদুল মতিন বলেন, ভোর রাতে এসে সার ডিলারের দোকানে লাইনে দাঁড়িয়ে দুপুর গড়িয়ে গেলেও সার পাননি তিনি। কিছু মানুষকে দেওয়ার পর দোকানদার বলছে সার শেষ হয়ে গেছে। তাই সার না নিয়েই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। ফজলু নামে আরেক কৃষক বলেন, অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেছেন তিনি। কিন্তু সারের অভাবে ফলন নিয়ে দুঃশ্চিতায় রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে চাষাবাদের জমিতে ২০ থেকে ২৫ কেজি সার যথেষ্ট। কিন্তু অনেক কৃষক এক বিঘা জমিতে এক বস্তা (৫০ কেজি) সার ব্যবহার করছেন। এ কারণেও সার সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আকবর হোসেন বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় সার কম সরবরাহ পাওয়ায় এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সরবরাহ বেশি বাড়ালে এ সংকট কেটে যবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাকলাইন হোসেন বলেন, সারের ঘাটতি মেটাতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কৃষি বিভাগ সার বিতরণে সচ্ছতা নিশ্চিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে- দ্রুত সংকট কেটে যাবে। এ ছাড়া কৃষকদের জৈব সার ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গোমস্তাপুর উপজেলায় ১৫ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।