নির্বাচন এলেই জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দেন এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সেতু করে দেবেন। ভোটের পর আর কথা রাখেননি কেউ। প্রতিশ্রুতি আর বাস্তবায়ন হয়নি। ভোগান্তিও দূর হয়নি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের ১০ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষের। প্রায় প্রতিদিনই ঘটে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে বিপাকে পড়তে হয় স্বজনদের।
স্থানীয়রা নিজস্ব অর্থায়নে টাঙ্গন নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো বানিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। এখনো তারা স্বপ্ন দেখছেন পালপাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া টাঙ্গন নদীতে এক দিন সেতু নির্মাণ হবে। সেতুটি হলে পাল্টে যাবে ঝাকুয়াপাড়া, সেনপাড়া, পালপাড়া, বাগপুর, সিংপাড়া, সর্দারপাড়া, চরঙ্গী, দক্ষিণ, উত্তর বঠিনা গ্রামের কৃষক ও সাধারণ মানুষের জীবনমান।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশাল বাঁশের সাঁকো দিয়ে মানুষ হেঁটে চলাচল করছেন। পণ্যবাহী কোনো যানবাহন চলতে পারছে না। শুষ্ক মৌসুমে সাঁকো ব্যবহার করা গেলেও বর্ষায় নদী পার হতে হয় নৌকায়।
কথা হয় স্থানীয় সচিন, দিলিপ, রিয়াজুল, আশরাফ, আরিফসহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে। তারা জানান, আকচা ইউনিয়নের অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষ পালপাড়া ঘাট দিয়ে যাতায়াত করেন। নদীর দুই পাড়েই রয়েছে পাকা সড়ক। নদীতে ব্রিজ না থাকায় কৃষিপণ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে এলাকার মানুষকে।তারা আরও বলেন, এটি কৃষিপ্রধান এলাকা। এখানে প্রচুর পরিমাণ সবজি আবাদ হয়। কৃষিপণ্য শহরে সরবরাহ করা অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে। ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন চাষিরা। নদীর পশ্চিম দিকে রয়েছে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা। প্রতিদিনই নদী পার হয়েই এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের। ছাত্র-ছাত্রীদেরও পড়তে হয় দুর্ভোগে। এমন নানান দুর্ভোগ নিয়ে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করছেন। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মামুন বিশ্বাস জানান, সাঁকোটি পরিদর্শন করেছি। এর ওপর দিয়ে বহু মানুষ চলাচল করেন। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি। জেলার কয়েকটি ব্রিজের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। একনেকে পাস হলেই পালপাড়া ব্রিজের কাজ শুরু করতে পারব।