টাঙ্গাইলে গত তিন দিনে তাপমাত্রা বেড়েছে সাড়ে চার ডিগ্রি। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক খায়রুল হাসান জানান, ভ্যাপসা গরমের কারণে হাসপাতালগুলোতে তাপজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে হিট স্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন এবং উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগী রয়েছে। এসব সমস্যা নিয়ে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ২০-৩০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন।
টাঙ্গাইল আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকাল ৩টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তিন দিনে টানা প্রায় ৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা স্বাভাবিক বলছেন না আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। এদিকে গাইবান্ধায় মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তি। গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বুধবার বিকাল ৩টায় গাইবান্ধা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৩২ শতাংশ, যা গরমের অনুভূতিকে আরও তীব্র করে তুলেছে।
এতে বেড়ে গেছে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা। এ অবস্থায় শিশু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থদের সতর্ক থাকতে এবং যথাসম্ভব রোদ এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।