নওগাঁর রানীনগরের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে সরু লেভেল ক্রসিং ও রেলস্টেশন মোড়। নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়ক ও রানীনগর-আবাদপুকুর-কালীগঞ্জ সড়ক প্রশস্ত করায় দুটি রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল বেড়েছে কয়েক গুণ। কিন্তু এ সড়কে লেভেলক্রসিং সরু হওয়ায় এবং ট্রেন চলার সময় রেলগেট বন্ধ করায় দীর্ঘ যানজট হচ্ছে। প্রতিদিনই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। নষ্ট হচ্ছে শত শত কর্মঘণ্টা। অনেক সময় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে স্থানীয়রা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেন।
উত্তরবঙ্গের নওগাঁ, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারীসহ বগুড়ার কিছু অঞ্চলের মানুষ নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে ঢাকায় যাতায়াত করছেন। এ ছাড়া প্রতিদিনই উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহীর সঙ্গে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ছোটবড় ৩০টি ট্রেন চলাচল করে। রানীনগর উপজেলার আবাদপুকুরের রফিকুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন কাজ করতে উপজেলা পরিষদে যেতে কিংবা জরুরি কোনো রোগী হাসপাতালে নিতে হলে রেলগেট পার হতে হয়। এখানে যানজটে আটকে পড়ায় অনেক মুমূর্ষু রোগী পথেই মারা যান। অটোভ্যান চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, সরু রেলগেট আমাদের জন্য গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া যখন ট্রেনের কারণে গেট বন্ধ থাকে তখন দুই পাশে প্রায় কিলোমিটার যানজট লেগে যায়। রানীনগর রেলস্টেশনের সহকারী মাস্টার আতিকুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলার ওপর দিয়ে দিনে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ মিলে ১৬টি আর রাতে ১৪টি ট্রেন চলাচল করে। এ ছাড়া মালবাহী বিভিন্ন ট্রেন তো আছেই। বিশেষ করে দিনে ট্রেন চলাচলের সময় ছোট্ট রেলগেটটি অধিকাংশ সময়ই বন্ধ রাখতে হয়। এতে গেট পার হওয়ার সময় ব্যস্ততম দুটি সড়ক ও মহাসড়কে যানজট হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাকিবুল হাসান জানান, দুটি ব্যস্ততম সড়কের মাঝে সরু রেলগেটের কারণে উপজেলাবাসীর চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। নওগাঁ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল হক জানান, রানীনগরের ওই দুটি মোড় প্রশস্তকরণ খুবই জরুরি। স্থানীয় প্রশাসন রেলবিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে জায়গাটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে আমরা রেলগেট প্রশস্তকরণ কাজ শুরুর প্রকল্প গ্রহণ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।