মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে যেন এমন অপরাধ আর না হয়, এজন্য প্রয়োজনীয় আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, দেশে যত গুম, খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে, তার বিচার করা এ সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। গতকাল রাজধানীর কলেজ রোডে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রস্তাবিত ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর ওপর এই সভার আয়োজন করে আইন মন্ত্রণালয়। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন- অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল প্রসিকিউটোরিয়াল এসিস্ট্যান্ট অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী, আলোকচিত্রশিল্পী ড. শহিদুল আলম, ব্লাস্টের নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, মায়ের ডাকের সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম, মানবাধিকারকর্মী রেজাউর রহমান লেলিন প্রমুখ।
আসিফ নজরুল বলেন, অনেকে প্রশ্ন করেন, যে আইনগুলো করছেন, পরবর্তী সরকার এসে এগুলো রাখবে কি না। কারণ, এক-এগারো সরকারের আমলেও অনেকগুলো ভালো আইন করা হয়েছি। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে সেগুলো আর রাখেনি। তিনি বলেন, আমি সবাইকে বলি, পরে যে সরকার আসবে, তারা কমপক্ষে এক হাজার মানুষের রক্তের ওপর দিয়ে গঠিত ফ্রেমওয়ার্কের মধ্য দিয়ে আসবে। তাদের পেছনে থাকবে ৫০-৬০ হাজার মানুষের আহত হওয়ার স্মৃতি। লাখ লাখ মানুষের কান্না। এত বড় একটা লিগ্যাসির পর আমাদের পরবর্তী সরকার আমাদের এই সংস্কার ভুলে যাবে, এটা আমি কল্পনাও করতে চাই না।