ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। এ সপ্তাহের শুরুর দিকে ওমানের রাজধানী মাস্কটে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় আমন্ত্রণ জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। গতকাল মন্ত্রণালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান মো. তৌহিদ হোসেন। আমন্ত্রণের বিষয়ে জয়শঙ্কর কী বলেছেন, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, তিনি ইতিবাচক।
তৌহিদ হোসেন বলেন, শুরুতে (অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর) যে টানাপোড়েন ছিল তা সবাই জানে। আমরা স্বীকারও করেছি। ব্যবসা মোটামুটি পিকআপ করেছে। দেখা গেছে যে, আগের লেভেলে পৌঁছেছে, এগুলো ইঙ্গিত। কিছু টানাপোড়েন এখনো রয়েছে, যেমন ভিসাসহ কিছু সমস্যা আছে। কিন্তু দুই পক্ষই মোটামুটি এ ব্যাপারে একমত হয়েছি যে, এগুলো সব দূর করে একটা গুড ওয়ার্কিং রিলেশনে আমাদের পৌঁছাতে হবে।
মাস্কটে তৌহিদ-জয়শঙ্করের বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যে চ্যালেঞ্জ ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, তা স্বীকার করে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দেয় উভয় পক্ষ।
ভারতে অবস্থানরত পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে ফেরানোর আলোচনায় তিনি বলেন, ওটা নিয়ে নির্দিষ্ট করে আলোচনা হয়নি। আমরা ইন জেনারেল সব বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে সরিয়ে রেখে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে পাল্টা প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, সরিয়ে রাখার ব্যাপার নয়। আদালত চেয়েছে তাঁকে, আমরা অনুরোধ করেছি তাঁকে ফেরত দেওয়ার জন্য। তার মানে এই নয় যে আমরা বাকি সবকিছু নিয়ে বসে থাকব।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন বন্ধ নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে নানা প্রকল্পে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন বাতিলের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের কিছুই করার নেই। তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে অর্থায়ন বন্ধ করেছে এটাতে শুধু বাংলাদেশ নির্দিষ্ট নয়। আর এখানে এই মুহূর্তে আমাদের কিছুই করার নেই। বিকল্প উপায়ে কীভাবে সংগ্রাম করতে পারি, এটা দেখতে হবে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে নানা প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিল করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সরকারি দক্ষতা বিভাগ (ডিওজিই) এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।