গত সপ্তাহে ৯৫ ভর্তিচ্ছুর বিষয়ে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি)। ভর্তির একদিন আগে বিজ্ঞপ্তি ‘ভুলবশত’ ছিল বলে জানায় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিমুখী সিদ্ধান্তে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের ভর্তি নিতে ও ক্ষতিপূরণ দিতে আহ্বান জানিয়েছে শাখা ছাত্রদল।
রবিবার (২২ জুন) বিকালে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. বদিউজ্জামান ফারুকের সাথে সাক্ষাৎ করে আবেদনপত্র তুলে ধরেন তারা। এ সময় শাবিপ্রবি শাখার সভাপতি রাহাত জামান এবং সাধারণ সম্পাদক নাঈম সরকারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আবেদনপত্রে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে শাবিপ্রবির 'বি' ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রমে একটি মারাত্মক প্রশাসনিক ভুলের ফলে ৯৫ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী চরম হয়রানি ও মানসিক ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। ২০ জুন রাতে আকস্মিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয় যে, ২২ জুন তারিখে যারা বিজ্ঞানে ৪০১ থেকে ৪৯৫ মেধাক্রমে ছিলেন, তাদেরকে ভর্তির জন্য পূর্বে যে তৃতীয় কল হয়েছিল, তা ছিল ভুলবশত।
এই ভুল ঘোষণার ফলে অনেক শিক্ষার্থী অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বাতিল করেছেন, ট্রাভেল বুকিং করেছেন, দূরদূরান্ত থেকে সিলেট আসার প্রস্তুতি নিয়েছেন এবং একাধিক আর্থিক ও মানসিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং তার সংশোধন পদ্ধতি অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার মতো ঘটনা।
এছাড়াও ভর্তি কমিটির কাছে কয়েকটি দাবিও তুলে ধরেন তারা। দাবি সমূহ হলো- ভুলবশত ডাকা ৯৫ জন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীর যথাযথ যাচাই সাপেক্ষে পরবর্তী পর্যায়ে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করে হলেও তাঁদের ভর্তি নিশ্চিত বা বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। যারা এই ঘটনায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং যদি কারো গাফিলতির কারণে এইরকম ভুল হয়ে থাকে তাহলে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন