সরকারি কাজে বাধা ও বেআইনি সমাবেশের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় দণ্ডিত জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া তার জামিন মঞ্জুর করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে ১৮ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরের দিন ১৯ আগস্ট খালাস চেয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করেন। এছাড়া তার জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। আদালত আপিল গ্রহণ করে জামিন শুনানির জন্য আজ রবিবার দিন ধার্য করেন।
শহিদুল ইসলাম বাবুলের আইনজীবী নেহার হোসেন ফারুকি ও সাদেকুল ইসলাম ভুঁইয়া (জাদু) এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কক্সবাজার সফর শেষে গুলশান যাবেন। এ সময় দলের নেতাকর্মীরা পল্টন এলাকায় সরকার বিরোধী স্লোগান দেয়। ভিআইপি রোড বন্ধ করে ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় পল্টন মডেল থানার এসআই মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল ওইদিনই মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আতাউর রহমান। মামলার সব কার্যক্রম শেষে ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর রায় দেন আদালত।
রায়ে শহিদুল ইসলাম বাবুলকে এক ধারায় আড়াই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। আরেক ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত