তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে লক্ষাধিক মানুষ নিয়ে গণপদযাত্রার ডাক দিয়েছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন। রবিবার বিকেল ৩টায় নগরীর শাপলা চত্ত্বর থেকে পদযাত্রাটি বের হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিলা স্কুলে গিয়ে শেষ হবে। এ কর্মসূচীতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুসহ পরিবেশ কর্মী, তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনকারী ও তিস্তাপাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ অংশ নেবেন। শনিবার দুপুরে নগরীর একটি হোটেল মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার ১৬ বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার পরও তিস্তা মহাপরিকল্পনাকে গুরুত্ব দেয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারও তিস্তাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। এতে করে প্রতি বছর ভাঙনে মানুষের ঘরবাড়ি, ফসলী জমি তিস্তা নদীগর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে। মানুষ ভিক্ষুকে পরিণত হচ্ছে। তিস্তাপাড়ের আর্তনাদ, বেদনা, তিস্তাপাড়ের বৈষম্য রয়েই গেছে।
তিনি বলেন, রংপুর শস্য ভান্ডার। দেশের খাদ্যের বেশিরভাগ সরবরাহ করা হয় রংপুর বিভাগ
থেকে। সরকার বন্দর উন্নয়নের জন্য ১৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও তিস্তা মহাপরিকল্পনায় অর্থায়ন নিয়ে সরকারের পরিস্কার অবস্থান নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা চীন সফর করেছেন। চীনা রাষ্ট্রদূতের সাথে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকের ফলাফলও জাতির সামনে আনা
হয়নি। এছাড়া তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে দেশী ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। কিছু পরিবেশবাদী সংগঠন তিস্তা মহাপরিকল্পনার বিরোধিতা করছেন। অথচ যখন তিস্তাপাড়ের মানুষ ভাঙনের শিকার হয়, বন উজার হয়, ফসলি জমি ভেঙে যাচ্ছে, তখন পরিবেশবাদীরা কিছু বলছে না। আমরা তিস্তাপাড়ের লক্ষাধিক মানুষ টানা ৪৮ ঘণ্টা তিস্তা নদীরপাড়ে থেকে আন্দোলন করেছি। এরপরেও তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে সরকার কোন গুরুত্ব দেয়নি। আমরা মনে করি এতে সরকারের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, রংপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, মহানগরের আহবায়ক সামসুজ্জামান সামু, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমদাদুল হক ভরসা প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এএ