দিনে প্রচণ্ড গরম আর রাতে অনুভূত হচ্ছে শীত। এরকম আবহাওয়ায় দিনাজপুর অঞ্চলে বেড়েছে ডায়রিয়া, পেটব্যথা, জ্বর-সর্দি-কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকসহ জনবল সংকটের মাঝে বাড়তি রোগীর চাপ বেড়েছে। সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে, বলছেন সংশ্লিষ্টরা। ফুলবাড়ী হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৫৩, জরুরি বিভাগে ১১৯ এবং আন্তবিভাগে ৬৪ জন। প্রতিদিন গড়ে বহির্বিভাগে ৫০০, জরুরি বিভাগে ১৫০-২০০ ও আন্তবিভাগে ৬০-৭০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। ১ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ১০ হাজার ৪১৪ জন, জরুরি বিভাগে ২ হাজার ৪৮৩ এবং আন্তবিভাগে ১ হাজার ৭১৭ জন। সূত্রটি আরও জানায়, এখানে মঞ্জুরকৃত পদের সংখ্য ১৮২। এরমধ্যে ৬৫টি পদ শূন্য। চিকিৎসকের ২৭ পদের ১৮টিই শূন্য। তৃতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা ৬৯টি পদের ৩৩টি পদ শূন্য। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ২১ জনের স্থলে ১০টি পদ শূন্য। ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান জানান, এ সময়ে আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত কারণে ডায়রিয়া, পেটব্যথা, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি-কাশির রোগী বেড়েছে। হাসপাতালে আমি ছাড়া তিনজন চিকিৎসক রয়েছেন। জনবল সংকট রয়েছে। স্বল্পসংখ্যক জনবল নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিতে চিকিৎসকসহ হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ সময়ে রোদে প্রয়োজন ছাড়া বের না হওয়া এবং বাইরের কোনো খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। মঙ্গলবার রোগী ভর্তি ৬০-৭০ জন। বহির্বিভাগে সোমবারও সাড়ে ৫৫০ রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন।
মেয়ের চিকিৎসা নিতে আসা শ্যামলী রানী বলেন, দিনের গরমে ফ্যান চালাতে হচ্ছে আর রাতে কম্বল-কাঁথা গায়ে দিতে হচ্ছে। এ আবহাওয়ার কারণে মেয়ের কদিন ধরে জ্বর। রোগী রোকেয়া বেগম বলেন, পেটব্যথার সঙ্গে বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। গ্রামের ওষুধের দোকান থেকে স্যালাইন ও ট্যাবলেট কিনে খাওয়ার পরও কাজ না হওয়ায় হাসপাতালে এসেছি। দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় দিনাজপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।