শেরপুরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ২০ হাজার ৮৪০ জন বাস করে। প্রতি পরিবারে ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। ১৫ থেকে অধিক বয়সের মানুষের মধ্যে কর্মসংস্থানের হার ৫১ দশমিক ৮৪ এবং বেকারত্ব ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। অন্যদিকে এ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৬৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ শিক্ষিত। পুরুষ ৬৯ দশমিক ১৩ ও নারী ৫৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি শিক্ষার হার হাজং জনগোষ্ঠীর। এ জনগোষ্ঠীর পুরুষের মধ্যে ৭৯ দশমিক ২ ও নারী ৬৮ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষিত। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত ‘শেরপুর জেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের আর্থসামাজিক অবস্থা জরিপ ২০২৪’-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে জরিপ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্পটির পরিচালক ফারহানা সুলতানা। প্রতিবেদনে বলা হয়, শেরপুর সদর উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৬ দশমিক ১৫ এবং নারী ১৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। অন্যদিকে শেরপুরের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের হার ১৫ থেকে বেশি বয়সের মানুষের মধ্যে ৫১ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
এর মধ্যে ঝিনাইগাতী উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৩ দশমিক ৫২ এবং নারী ৪৯ দশমিক ২১ শতাংশ। নকলা উপজেলায় পুরুষ ৭৩ দশমিক ৩৩ এবং নারী ২০ দশমিক ৯২ শতাংশ। নালিতাবাড়ী উপজেলায় পুরুষ ৬৩ দশমিক ৪১ এবং নারী ২৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ। শ্রীবরদী উপজেলায় পুরুষ ৭৪ দশমিক ৮১ এবং নারী ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শেরপুর জেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে বেকারের হার ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। এর মধ্যে ঝিনাইগাতীতে পুরুষ ৩ দশমিক শূন্য ২ এবং নারী ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ। নকলায় পুরুষ ৪ দশমিক শূন্য ৪ এবং নারী ৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। নালিতাবাড়ীতে পুরুষ ৩ দশমিক ৫৬ এবং নারী ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। শেরপুর সদরে পুরুষ ৪ দশমিক ৮৪ এবং নারী ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। শ্রীবরদীতে পুরুষ ২ দশমিক ৮৬ এবং নারী ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।