জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির, সাবেক এমপি ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বহু মানুষ যে লক্ষ্যকে সামনে রেখে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, সেই লক্ষ্য অর্জিত হয়নি, দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল পাননি। স্বাধীনতার পরিবর্তে ৫৪ বছর ধরে পরাধীনতার গ্লানি বাংলাদেশের মানুষ ভোগ করেছে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাটোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ যারা নেতৃত্ব দিয়েছিল, তারা অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে পারেনি। তারা দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং বৈষম্য দূর করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাদের ব্যর্থতার কারণে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এই অভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারী শহীদদের রক্ত ঋণের উপর দাঁড়িয়ে তৃতীয় স্বাধীনতার হাতছানি আমাদের সামনে। এই স্বাধীনতা হবে দেশে সুবিচার প্রতিষ্ঠার। আর সুবিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে। সুবিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব। এই লক্ষ্যে কাজ করছি আমরা।
নাটোর জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বিদায়ী সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল হক জিয়ার সভাপতিত্বে জেলা সেক্রেটারি আফতাব উদ্দীনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মো. মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া, নাটোর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলাম, নায়েবে আমির অধ্যাপক ইউনুছ আলী ও অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেন খান ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যকারী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. আব্দুস সবুর।
সম্মেলনের দ্বিতীয় সেশনে মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে সভাপতি ও আফতাব উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নাটোর জেলা শাখার নতুন দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই
