জনগণের সরাসরি ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন। দুবারের বেশি কেউ রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন না। একজন রাষ্ট্রপতি পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচন করতে পারবেন না। গতকাল সংবিধান প্রস্তাবে ‘রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা’ সম্পর্কে এসব দাবি জানায় জাতীয় নাগরিক কমিটি।
প্রস্তাবে নাগরিক কমিটি জানায়, রাষ্ট্রপতি রিপাবলিকের নিয়মতান্ত্রিক প্রধান হবেন। রিপাবলিকের সব কর্ম তার নামেই সম্পাদিত হবে। রাষ্ট্রপতি সংসদের উভয় কক্ষের যৌথসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের আস্থাভাজনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন। এ ছাড়া আইনের দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে মনোনীত ব্যক্তিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন। অন্যান্য সাংবিধানিক পদেও আইনের দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিয়োগ দেবেন। রাষ্ট্রপতি দ মওকুফ বা ক্ষমা ঘোষণা করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে সংসদের উচ্চকক্ষের প্রস্তাব/পরামর্শ লাগবে।
প্রস্তাবে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি যে কোনো আইন-বিধান-বিধি-প্রবিধান-নীতি বা চুক্তি/স্মারক অনুমোদন বা স্বাক্ষরের আগে সাংবিধানিক হয়েছে কি না তা পরীক্ষার জন্য সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট বিভাগে মতামতের জন্য পাঠাতে পারবেন। যে কোনো ব্যক্তি, সংস্থা, কর্মবিভাগ সম্পর্কে তদন্ত/নিরীক্ষার জন্য ন্যায়পালকে নির্দেশ দিতে পারবেন।
অধ্যাদেশ প্রণয়নের আগে তা ক্রমানুসারে সংসদের উচ্চকক্ষ বা সংসদীয় কমিটি বা সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট বিভাগের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। যে কোনো বিষয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রপতি সংসদে প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটি জানায়, রাষ্ট্রপতির কাস্টিং ভোট থাকবে। রাষ্ট্রপতি তিন বাহিনীর প্রধান থাকবেন এবং জরুরি অবস্থা বিষয়ে উচ্চকক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য সংসদের উভয় কক্ষের সভায় পাস হওয়া প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কাছে আসতে হবে। নিম্নকক্ষের অনুপস্থিতিতে কেবল উচ্চকক্ষ প্রস্তাব পাঠাতে পারবে। জরুরি অবস্থা চলাকালে মৌলিক অধিকার রদ করা যাবে না। প্রস্তাবে আরও বলা হয়, কেবল সংসদ নেতার পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি সময়ের আগে সংসদ ভেঙে দিতে পারবেন।
