এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে ছাদ বেয়ে এক পরীক্ষার্থীকে নকল দিতে এসে আটক হয়েছেন ইমরান হোসেন নামের এক তরুণ। পরে তাকে হাতেনাতে আটক করে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে পেরিয়া ইউনিয়নের ডা. যোবায়েদা হান্নান হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র এ ঘটনা ঘটে। তাছাড়া একই দিনে কুমিল্লা জেলায় এসএসসি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে মোট ২২ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পরীক্ষায় নকলের দায়ে ইমরান হোসেন নামের ওই তরুণসহ দুইজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এদিন এসএসসির ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র এবং দাখিলের গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় এসএসসির এসএসসির ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের ১১ পরীক্ষার্থী এবং দাখিলের গণিতের ১১ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। তাছাড়া বরুড়া উপজেলায় দাখিল পরীক্ষায় দুইজন পরীক্ষা পরিদর্শককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, নাঙ্গলকোটে এসএসসি পরীক্ষায় ছাদ বেয়ে নকল সরবরাহ করছিলেন ইমরান হোসেন। এসময় তাকে হাতেনাতে ধরা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাফিদ খান বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নকল সরবরাহের সময় পেরিয়া ইউনিয়নের ডা. যোবায়েদা হান্নান হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে ইমরান হোসেনকে হাতে-নাতে ধরা হয়।
অন্যদিকে, মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুরে অধ্যাপক আব্দুল মজিদ কলেজ কেন্দ্রে নকল সরবরাহের দায়ে তারেক নামের আরেক যুবককে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ আদেশ দেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খাঁন।
তিনি বলেন, পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন-১৯৬০ এর ১৮৮ ধারা অনুযায়ী ওই যুবককে ৭ দিনের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০০ টাকা জরিমানাও করা হয়। পরে বিকালে পুলিশি সহযোগিতায় তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ