কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কৃষি সেচ পাম্প নিয়ে শেখ গ্রুপের সঙ্গে মোল্লা গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল উপজেলার উত্তর কয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত নয়জন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ওসি মো. সোলায়মান শেখ বলেন, সেচ পাম্পের ইজারা বা মালিকানা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংঘর্ষে আহত হামিদুল শেখ (৫০), নাঈম শেখ (২২), ইব্রাহিম শেখ (৬৫), ইয়ামিন শেখ (১৯) ও আলম শেখকে (২০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া ছমসের আলী মোল্লা (৫৫), রুহুল আলম (৬০), শামসুল আলম (৫৮) এবং নান্নু মোল্লাকে (৫০) কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ছয় বছর ধরে উত্তর কয়া গ্রামের রবিউল আলম মোল্লা তার কৃষি কাজের সেচ পাম্প হামিদুল শেখের কাছে ভাড়া দিয়ে আসছিলেন। হামিদুল দুই বছর অন্তর বৈশাখ মাসে ৩৬ হাজার টাকা ভাড়া প্রদান করেন রবিউলকে। তবে এ বছর থেকে রবিউল পাম্পটি ইজারা দেবেন না বলে তালা লাগিয়ে দেন। গতকাল হামিদুল শেখ তার লোকজন নিয়ে জোর পূর্বক তালা খুলতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পাম্প ভাড়া নেওয়া হামিদুল শেখ বলেন, এখনো দুই মাস ইজারার মেয়াদ আছে। তবুও তারা তালা লাগিয়ে দিয়েছে। পাম্প মালিক রবিউল মোল্লার স্ত্রী জাহানারা খাতুন বলেন, পয়লা বৈশাখেই মেয়াদ শেষ হয়েছে ইজারার। হামিদুলরা জোর করে পাম্প নিতে না পেরে আমাদের লোকজনকে মারধর করেছে।