রোমানিয়ার বুখারেস্টের বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ভাবগম্ভীর পরিবেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ এবং দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হয়।
সন্ধ্যায় জে. ডাব্লিউ. ম্যারিয়ট হোটেলে উৎসবমুখর পরিবেশে একটি সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এতে রোমানিয়ার সংসদ সদস্যবৃন্দ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও অন্যান্য কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী এবং শিল্পীসমাজের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ ভিন্নমাত্রা যোগ করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের আন্তরিক অভ্যর্থনা জানান রোমানিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহনাজ গাজী।
রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহিদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং বাংলাদেশের যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা থেকে আজকের অগ্রসর, উদীয়মান অর্থনীতিতে উত্তরণের যাত্রাপথ তুলে ধরেন।
তিনি শ্রম, শিক্ষা, বাণিজ্য ও উদ্ভাবনসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ-রোমানিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিকাশের কথা উল্লেখ করেন। রোমানিয়া কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী প্রারম্ভিক স্বীকৃতির জন্য কৃতজ্ঞতা জানান এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শান্তি, মানবিকতা ও বৈশ্বিক সংহতির আহ্বান উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের শান্তিনীতির প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রোমানিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈশ্বিক বিষয়াবলি বিভাগের মহাপরিচালক ক্যালিন মিত্রি। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন এবং দুই দেশের মধ্যকার চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। কৃষি, শিক্ষা, জ্বালানি, শ্রমবাজার, বাণিজ্য ও ব্যবসা খাতে উভয় দেশের মধ্যে বিপুল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও গভীর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের জন্য এক মনোজ্ঞ ভোজসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বাংলাদেশি, দক্ষিণ ও মধ্য এশীয় এবং ইউরোপীয় খাবারের সমন্বয়ে সাজানো ব্যতিক্রমধর্মী মেনু পরিবেশিত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত