বাস কেনাবেচার বিরোধের জেরে রাজধানীর তুরাগে রাইদা বাস ডিপোর মালিক আনোয়ারকে হত্যা করা হয়। এরপর মাটিচাপা দিয়ে লাশ গুমের চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় সবুজ ফকির (২৮), কালাম (২২) ও শাকিল (১৮) নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যে জব্দ করা হয় হত্যায় ব্যবহৃত লোহার পাইপ। রাজধানীর মিন্টো রোডে গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, দিয়াবাড়ি মেট্রো গোলচত্বরে রাইদা বাস ডিপোর মালিক আনোয়ার হোসেন সিকদার ১৭ জানুয়ারি সকাল ৯টায় বাসা থেকে বের হন। ওইদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি বাসায় ফিরে না আসায় এবং ফোন রিসিভ না করায় তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। কোথাও না পেয়ে পরদিন তুরাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন আনোয়ারের স্ত্রী শিউলি আক্তার। ডিসি মুহিদুল বলেন, প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া যায় ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে আনোয়ারকে হত্যা করা হয়েছে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সম্ভাব্য হত্যাকারীদের শনাক্ত করা হয়। রবিবার দুপুরে আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে কালাম ও শাকিলকে গ্রেপ্তার করে তুরাগ থানা পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যে বিকাল সাড়ে ৩টায় দিয়াবাড়ি থেকে সবুজকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দিয়াবাড়ি মেট্রো গোলচত্বরের ডেসকো অফিসের পূর্ব পাশে রাইদা ডিপোর ভিতরের উত্তর পাশের টিনের বেড়াসংলগ্ন মাটির নিচ থেকে আনোয়ারের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, এ ঘটনায় নিহত আনোয়ারের স্ত্রী শিউলি গ্রেপ্তার তিনজনসহ আরও পাঁচ/ছয়জনের বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় রবিবার হত্যা মামলা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সবাই রাইদা বাসচালক। ১৭ জানুয়ারি বেলা ১১টায় আনোয়ারকে রাইদা বাস ডিপোর ভিতরে হত্যা করা হয়। লাশ গুম ও প্রমাণ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়।