ধর্ষণের শিকার মাগুরার ওই শিশুর শারীরিক অবস্থার আবারও অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার ‘মস্তিষ্ক প্রতিক্রিয়াহীন’ হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন মেডিকেল বোর্ডের এক চিকিৎসক।
মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য জানিয়েছেন, গত সোমবার সামান্য উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার শিশুটির মস্তিষ্ক প্রতিক্রিয়াহীন হয়ে পড়েছে। ঘটনার সময় শিশুটিকে যখন ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়, তখন তার মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। পরদিন বেলা ১১টায় হাসপাতালে নেওয়ার আগ পর্যন্ত ওই অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছিল। ফলে দীর্ঘ সময় অক্সিজেন না পেয়ে মস্তিষ্কের বড় ক্ষতি হয়েছে। যদি ঘটনার পরপরই তাকে হাসপাতালে নিয়ে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেত, তাহলে এত বড় ক্ষতি হতো না।
শিশুটির মামাতো ভাই বলেন, চিকিৎসক তাদের জানিয়েছেন, আজ অবস্থা ভালো নয়। শিশুটির চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে গঠিত বোর্ডের এক চিকিৎসক ও শিশুটির স্বজনের সঙ্গে কথা বলে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা জানা গেছে।
চিকিৎসক জানান, গ্লাসগো কোমা স্কেল (জিসিএস) (মস্তিষ্কে আঘাতের কারণে কোনো ব্যক্তির চেতনার মাত্রা পরিমাপ করা হয়) আবারও ৩-এ নেমে এসেছে। যার স্বাভাবিক মাত্রা ১৫। জিসিএস-৩ অবস্থাকে মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থা বলে বিবেচনা করা হয়। সোমবার সকাল থেকে তার জিএসএস-৩ থেকে উন্নতি হয়ে-৫ এ উঠেছিল বলে অবস্থার কিছুটা উন্নতি ধরে নেওয়া হয়েছিল।