বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান সময়ে নির্যাতিত আছিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি কোনোভাবেই দেশবাসী মেনে নিতে পারছে না। মানুষের প্রত্যাশা ছিল তৃণমূলে অতি দ্রুত আইনের শাসন বলবৎ হবে। কিন্তু প্রশাসনের শ্লথ ও ঢিলেঢালা আচরণে সমাজে দুষ্কৃতকারীরা নানাভাবে আশকারা পাচ্ছে। রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, গত ১৬ বছর দুঃশাসনে শান্তি ও সামাজিক সংহতি বিনষ্ট করা হয়েছে। দুর্বৃত্তায়নের ব্যাপক প্রসার ঘটিয়ে সমাজকে দুর্গন্ধময় করার চেষ্টা করা হয়েছে। জমি দখল, লুট, টাকা পাচারের মহা-উৎসবের মধ্য দিয়ে নিজের সিংহাসন অটল রাখতে সব ধরনের নোংরামিকে প্রশ্রয় দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তার শাসনের সময়ে হত্যা, গুম, খুন, ধর্ষণ, নারী, শিশু নির্যাতন, বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর অকথ্য নির্যাতন, রাষ্ট্র ও সমাজের এমনই বিস্তার লাভ ঘটানো হয়েছিল, যাতে সভ্য, শিষ্ট, সজ্জন মানুষের বসবাস করা বিপজ্জনক হয়ে পড়েছিল। বিএনপির এই নেতা বলেন, সেই রেশ ধরেই এখনো নারী-শিশু নির্যাতনকারীরা যেন সুযোগের অপেক্ষায় ওতপেতে বসে রয়েছে। সম্প্রতি মাগুরায় বোনের শ্বশুর বাড়িতে আট বছরের শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ, কয়েক দিন চিকিৎসারত থেকে গতকাল (বৃহস্পতিবার) তার মৃত্যুবরণ সারা জাতিকে বিমূঢ় বেদনায় বেদনার্ত করেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় সারা জাতির চোখ অশ্রুসজল। দীর্ঘ আওয়ামী দুঃশাসনে মানবিকতা, নৈতিকতা, ন্যায্যতা, ন্যায়বিচার অদৃশ্য করা হয়েছে। অপকর্মকারীদের বেশির ভাগই ছিল শেখ হাসিনার দলের লোক। কারণ এরা জনসেবার চেয়ে আত্মসেবাকেই বড় করে দেখেছে। রুহুল কবির রিজভী বলেন, মানুষের সমবেত ধ্বনি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, কিন্তু সেটি যদি অনুপস্থিত থাকে তাহলে অন্তর্বর্তী সরকারের গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস পেতে থাকবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।