মৌলভীবাজার বিসিক শিল্পনগরী। দীর্ঘ প্রায় তিন দশকেও (২৭ বছর) এখানে গড়ে ওঠেনি পানি পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা। পুরোপুরি বিকশিত হয়নি শিল্পনগরীর কার্যক্রম। এ নিয়ে হতাশা বিরাজ করছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। সম্প্রতি শিল্পনগরীর পানি ও বর্জ্য উজানের দিকে নিয়ে আসার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাদের এমন দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা। জানা যায়, মৌলভীবাজার শিল্পনগরী স্থাপনের সময় পানি ও বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন দেওয়া হয় ভাটির দিকে পার্শ্ববর্তী কাঞ্জাইর হাওরে। এ হাওরে বিষাক্ত পানি ও বর্জ্য ফেলায় চাষাবাদ করতে পারেননি স্থানীয়রা। হাওরের কয়েক একর জমি অনাবাদী হয়ে পড়ে। কৃষকরা দূষিত পানিতে নামলেই নানা রোগে আক্রান্ত হন। কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবি ও আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি পানি নিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মৌলভীবাজার-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের দিকে নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এতেও আপত্তি জানিয়েছেন এলাকার লোকজন। তারা বিসিক কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। উজানের দিকে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা অযৌক্তিক ও দায়িত্বহীন কাজ হবে মনে করছেন তারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, উজানের দিকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। এতে শিল্পনগরীর পানি মৌলভীবাজার-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে জলাবদ্ধতায় রূপ নেবে। দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়বে আশপাশের এলাকায়। বিসিক শিল্পনগরীর পাশেই যুব উন্নয়ন, সমবায় প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, পুুলিশ লাইন, জামেয়া মাদরাসা, জেলা কারাগারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিষাক্ত পানি ও বর্জ্যরে দুর্গন্ধে এই প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ঠিকমতো সেবা নিতে পারবেন না সাধারণ মানুষ। সরেজমিনে দেখা যায়, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে শিল্পনগরীর বিভিন্ন রাস্তার আশপাশে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় সবকটি ড্রেন অনেক আগেই ভরাট হয়ে গেছে। শিল্প-কারখানার বিষাক্ত রাসায়নিক বর্জ্যরে জায়গায় জায়গায় আটকে আছে। বিভিন্ন প্লটের জায়গা বন-জঙ্গলে ছেয়ে আছে। এমন অব্যবস্থাপনার জন্য দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ জানিয়ে আসছেন শিল্প-উদ্যোক্তারা। জানা যায়, ১৯৯৮ সালে শহরতলির গুমড়া এলাকায় প্রায় ১৫ একর জমির ওপর ২ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় বিসিক শিল্পনগরী। স্থানীয় বাসিন্দা শাহনুর আহমদসহ অনেকে জানান, উজানের দিকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলে নতুন করে দুর্ভোগ সৃষ্টি হবে। এলাকাবাসী মারাত্মক ক্ষতির মুখে পরবেন। পানি ও বর্জ্যরে দুর্গন্ধে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়বে। মৌলভীবাজার বিসিক শিল্পনগরী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আফজাল উদ্দিন বলেন, পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী সমাধান করতে হলে ভাটির দিকে জায়গা অধিগ্রহণ করতে হবে। বিসিক শিল্পনগরী কর্মকর্তা মাসুদ হুসেন বলেন, আমরা ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার শুরু করেছি। পানি নিষ্কাশন কোন দিকে হবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি আরও বলেন, জায়গা অধিগ্রহণ করে ভাটির দিকে কুদালিছড়ায় পানি-বর্জ্য ফেলালে ভালো হয়। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
শিরোনাম
- ইরানের কাছে পরমাণু বোমা থাকতে পারবে না : ট্রাম্প
- মেঘনা গ্রুপের কাছে আটকে আছে তিতাসের ৮৬২ কোটি টাকা
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)
- সুন্দরবনের দুই বনদস্যু আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ আটক
- ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
- ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত
- কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ
- মহাখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
- বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেনের অভাবে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
- রিকশাসহ নালায় পড়ে তলিয়ে গেল শিশু
- বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জনবল বাড়াবে সরকার
- পুকুরে ডুবে দুই রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
- রৌমারীতে বড়াইবাড়ি দিবসকে জাতীয় স্বীকৃতির দাবি
- ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি
- বরিশালে আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল
- যশোরের অগ্নিকাণ্ডে ৫০ হাজার মুরগিসহ মেশিনারীজ ভস্মীভূত
- সংস্কারের পরে নির্বাচনের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে ‘মার্চ ফর ড. ইউনূস’ কর্মসূচি
- পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে তৈরি বস্ত্রের প্রসারে কাজ করতে হবে : রিজওয়ানা হাসান
- ফয়জুল করীমকে মেয়র ঘোষনার দাবিতে বরিশালে মানববন্ধন
- চীনের অর্থায়নে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি পঞ্চগড়ে স্থাপনের দাবি
মৌলভীবাজার
অব্যবস্থাপনায় বিপর্যস্ত বিসিক
► ২৭ বছরেও বিকশিত হয়নি শিল্পনগরী ► গড়ে ওঠেনি পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা
সৈয়দ বয়তুল আলী, মৌলভীবাজার
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর