রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. তানজিউল ইসলাম জীবন এবং পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. রশীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন ও ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। সোমবার দুপুরে কৃষ্ণচূড়া সড়কে শিক্ষার্থীরা ব্যতিক্রমধর্মী এক প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে।
কর্মসূচিতে অভিযুক্ত শিক্ষকদের কুশপুত্তলিকা তৈরি করে তাতে হাফ প্যান্ট, টি-শার্ট ও জুতার মালা পরিয়ে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। কুশপুত্তলিকার গায়ে লেখা হয় ‘আমি নারী লোভী নিপীড়ক শিক্ষক’। পরে শিক্ষার্থীরা একে একে তাতে জুতাপেটা করেন।
১৩ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. তানজিউল ইসলাম জীবনের একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়, যেখানে একজন ছাত্রীকে তিনি ফলাফল পরিবর্তন ও বিভিন্ন কথাবার্তা শিখিয়ে দিচ্ছেন বলে শোনা যায়। ওই শিক্ষককে বলতে শোনা যায়, ‘তুমি প্রথমে বলছিলা স্যার আমাকে ফার্স্ট করে দেন।’ ছাত্রীকে ফলাফল ৩.১৬ থেকে ৩.৭০ করিয়ে দেওয়ার কথাও তিনি জানান।
এছাড়াও পরিসংখ্যান বিভাগের ড. রশীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১৯ এপ্রিল যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। ফাঁস হওয়া মেসেঞ্জার স্ক্রিনশটে দেখা যায়, তিনি এক ছাত্রীকে শাড়ি পরা ছবি পাঠাতে বলেন এবং নানা অজুহাতে বাসায় ডাকার চেষ্টা করেন। ছাত্রী অভিযোগ করেন, তিনি ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করেন এবং এক পর্যায়ে ব্যাড টাচ করার চেষ্টা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্য সচিব ও প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান জানান, ফলাফল টেম্পারিংয়ের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। যৌন নিপীড়নের বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো কেউ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ড. তানজিউল ইসলাম জীবনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। অন্যদিকে ড. রশীদুল ইসলামের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল