রানরেটের জটিল সমীকরণে নারী বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশ। ২০২২ সালের পর ফের বিশ্বকাপ খেলবে নিগার বাহিনী। ছয় জাতির নারী বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে পাকিস্তানের কাছে হেরে বিশ্বকাপ ঝুলে গিয়েছিল নিগার সুলতানাদের। অপেক্ষায় থাকতে হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ-থাইল্যান্ড ম্যাচের ফলাফলের দিকে। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ২৩৫ বল হাতে রেখে আইসিসি সহযোগী দেশ থাইল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়েও রানরেটের জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে না ক্যারিবীয় নারীদের। উল্টো পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হেরেও রানরেটের সামান্য ব্যবধানে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ খেলছে নিগার বাহিনী। পাকিস্তান টানা পাঁচ জয়ে সবার ওপরে থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট ৬। নিগারদের রানরেট ০.৬৩৯ এবং হেইলি ম্যাথিউসদের রানরেট ০.৬২৬।
বাছাইপর্বের প্রথম তিন ম্যাচে থাইল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডকে পাত্তাই দেয়নি নিগার বাহিনী। একের পর এক রেকর্ড গড়েছে ব্যক্তিগত ও দলগত। আইসিসি সহযোগী দেশগুলোর বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলা নিগার, শারমিন আক্তার, ফারজানা হকরা দুই টেস্ট খেলুড়ে দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সুর, তাল, লয় হারিয়ে ফেলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতলেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়ে যেত। সেই ম্যাচটি ব্যাটিং ব্যর্থতায় হেরে যায় ৩ উইকেটে। হারলেও সম্ভাবনা টিকে থাকে বিশ্বকাপে খেলার। এজন্য গতকাল পাকিস্তানকে হারালেই হতো। বাছাইপর্ব শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়েছিলেন নিগাররা। গতকালের ম্যাচে মনে হয়েছিল নিগার বাহিনী জিতবে। কিন্তু লাহোর সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে পুনরায় ব্যাটিং ব্যর্থতায় হেরে যায় বাংলাদেশ। টস জিতে বড় স্কোরের আশায় প্রথমে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ। কিন্তু বড় কোনো জুটি এবং ব্যক্তিগত বড় স্কোরের অভাবে নিগার বাহিনী ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭৮ রান করে। দলের সর্বোচ্চ জুটি ৪৪ রানের। ছিল না কোনো পঞ্চাশ ঊর্ধ্ব রানের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন রিতু মণি। ৭৬ বলের ইনিংসটিতে ৫টি চার। এ ছাড়া ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ফাহিমা খাতুন। ৫৩ বলে ৪ চারের ইনিংসটিতে ভর করেই বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭৮ রান করে। প্রথম তিন ম্যাচে এক সেঞ্চুরি ও দুই হাফ সেঞ্চুরিতে ২৩৫ রান করা অধিনায়ক নিগার টানা দুই ম্যাচে ব্যর্থ হন। আগের ম্যাচে ৬ রানের পর গতকাল এক রান করেন। বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হয়েছেন শারমিন সুপ্তাও। তিনি খেলেন ২৪ রানের ইনিংস। ১৭৯ রানের টার্গেটে পাকিস্তান নারী দল ৩৯.৪ ওভারে টপকে যায় ৩ উইকেটে ১৮১ রান তুলে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৬.১ ওভারে ১৬৬ রান করে থাইল্যান্ড। অধিনায়ক ম্যাথিউস ২৯ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায় ৭০ রানের ইনিংস খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটের জয় উপহার দেন। তখনো বল বাকি ছিল ২৩৫টি। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিশ্বকাপে খেলতে হলে ১০ ওভারে ১৬৭ রান করতে হতো। কিন্তু ক্যারিবীয়রা ১০.৫ ওভারে থাইল্যান্ডের ১৬৬ রান টপকে যায়।