জিতলেই হবে। সমীকরণের প্রয়োজন হবে না নিগার সুলতানাদের। সরাসরি নারী বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করবে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারতের মাটিতে আট জাতির নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলতে বাংলাদেশকে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারালেই হবে। জিতলে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলবে নিগার বাহিনী। হেরে গেলেও সম্ভাবনা থাকবে। সেজন্য ১৯ এপ্রিল শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতে হবে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান টানা তিন ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের পথে এক পা দিয়েই রেখেছে। নিগারদের মতো স্বাগতিক পাকিস্তানেরও আজ বিশ্বকাপ চূড়ান্ত হতে পারে। স্বাগতিকরা থাইল্যান্ডকে হারালেই বিশ্বকাপ খেলবে।
নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান টানা তিন জয়ে সমান ৬ পয়েন্ট পেয়েছে। কিন্তু রানরেটে এগিয়ে নিগাররা। নিগারদের রানরেট ১.৪৯৪ এবং পাকিস্তানের রানরেট ০.৮৫৭। নিগার বাহিনী বাছাইপর্বে প্রথম ম্যাচে ১৭৮ রানে হারায় থাইল্যান্ডকে, দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ২ উইকেটে এবং তৃতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ৩৪ রানে হারায়। নিগার বাহিনীর আজকের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তাদের জয় তিন ম্যাচে একটি। প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে ১১ রানে, আয়ারল্যান্ডকে হারায় ৬ রানে এবং পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় ৬৫ রানে। পারফরম্যান্সের বিচারে আজকের ম্যাচে নিগাররাই ফেবারিট।
২০২২ সালের নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ খেলেছিলেন নিগাররা। সেবার জিম্বাবুয়েতে বাছাইপর্বের তিনটি ম্যাচ খেলার পর করোনাভাইরাসের জন্য স্থগিত হয়ে যায়। র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকায় বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পায়। এবার বাছাইপর্ব খেলছে। নিগার বাহিনী দারুণ খেলছে। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং- তিন বিভাগেই ছন্দোময় ক্রিকেট খেলছে। বিশেষ করে অধিনায়ক নিগার সুলতানা। তিন ম্যাচে রানের ফল্গুধারা ছুটিয়েছেন। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৮০ বলে ১০১ রান করেন। যা নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের কোনো নারী ক্রিকেটারের প্রথম সেঞ্চুরি। নিগার সেঞ্চুরি করেন থাইল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৭৮ বলে। যা দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দলকে জয়ী করেন রিতু মণি ৬৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে। ওই ম্যাচে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন নিগারও। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৩ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক। ৩ ম্যাচে ১১৩.৫২ স্ট্রাইকরেটে ১১৭.৫০ গড়ে ২৩৫ রান করেছেন তিনি। শারমিন আক্তার সুপ্তাও ভালো খেলছেন। ৩ ম্যাচে দুই হাফ সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ১৭৫। ফারজানাও ৩ ম্যাচের দুটিতে হাফ সেঞ্চুরি করেন। রান করেন ১১০। বোলিংয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স চার স্পিনার জান্নাতুল ফেরদৌস, নাহিদা আক্তার, রাবেয়া আক্তার ও ফাহিমা খাতুনের। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে জান্নাতুল ও ফাহিমা ৫টি করে উইকেট নেন। যা নারীদের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে রেকর্ড। এক ওয়ানডেতে দুই বোলার একসঙ্গে ৫টি করে উইকেট নেননি এর আগে। অফ স্পিনার জান্নাতুল ৩ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ৮টি, লেগ স্পিনার ফাহিমার উইকেট ৭, আরেক লেগ স্পিনার রাবেয়ার উইকেট ৩ ও বাঁ হাতি স্পিার নাহিদার উইকেট ৪টি।
দলগত স্কোরেও বাংলাদেশ সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে। বাছাইপর্বে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ২৭১ রান করে প্রথমবার রেকর্ড গড়ে নিগার বাহিনী। দ্বিতীয়বার সেই রেকর্ড ভাঙ্গে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ২৭৬ রান করে।