ঘটনাটি ভারতের রাজস্থানের জয়পুরের। সেখানে প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুন করেন এক তরুণী। খুন করেও ক্ষান্ত হননি অভিযুক্তরা। মরদেহ বস্তায় ভরে প্রেমিকের বাইকে করে এক নির্জন জায়গায় নিয়ে পুড়িয়ে ফেলেন তারা। সিসিটিভির সূত্র ধরে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনার তথ্য দিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই তরুণী ও তার ১২ বছরের ছোট প্রেমিককে।
বৃহস্পতিবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। পেশায় সবজি বিক্রেতা ওই নিহত ব্যক্তির নাম ধন্নালাল সাইনি। তার স্ত্রী গোপালি দেবী গত পাঁচ বছর ধরে এক যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপালি দেবীর প্রেমিক দীনদয়াল একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করেন। সম্প্রতি অন্যত্র সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারেন তার স্বামী। এ নিয়ে বেশ ঝগড়াও হয় তাদের মধ্যে। গত ১৫ মার্চ ঘরে ফিরে স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে সোজা দীনদয়ালের দোকানে চলে যান ধন্নালাল। সেখানে দীনদয়ালের সঙ্গেই ছিলেন তার স্ত্রী। দু’জনকে একসঙ্গে দেখে বাকবিতণ্ডা শুরুর এক পর্যায়ে লোহার রড দিয়ে ধন্নালালের মাথায় সজোরে আঘাত করেন তার স্ত্রীর প্রেমিক। সেই আঘাতের জেরে স্বামী লুটিয়ে পড়লে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করেন স্ত্রী গোপালি।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, এরপর স্ত্রী ও প্রেমিক মিলে স্বামীর মৃতদেহটি একটি বস্তায় ভরে ফেলেন। এরপর প্রেমিকের বাইকে নিয়ে পাশের এক মন্দিরের পিছনে নির্জন জায়গায় নিয়ে পুড়িয়ে দেন। পুলিশ বলছে, এই খুন পূর্বপরিকল্পিত না হলেও খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য গোপালি তার স্বামীর দেহটি পুড়িয়ে ফেলেন। এরপর দুজনে জয়পুর থেকে পালানোর তোড়জোড়ও শুরু করেন। কিন্তু তার আগেই তাদের ধরে ফেলে পুলিশ।
জানা গেছে, মন্দির চত্বরের সিসিটিভি ক্যামেরায় ওই যুগলকে বাইকে চেপে যেতে দেখা গিয়েছিল। সঙ্গে ছিল একটি ভারী বস্তাও। শেষমেশ সেই সিসিটিভি সূত্র ধরেই গোপালি ও দীনদয়ালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্র : জি নিউজ ও নিউজ১৮।
বিডি-প্রতিদিন/শআ