ক্ষতিপূরণসহ চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিডিআরের চাকরিচ্যুত সদস্যরা মিছিল নিয়ে সচিবালয় অভিমুখে যেতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় তারা ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয় যেতে চাইলে লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান আন্দোলনরতরা। এ ঘটনায় বিডিআরের অন্তত সাত সদস্য আহত হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। তারা হলেন- ইসমাইল হোসেন (৫৯), কামরুল ইসলাম (৫০), মাহফুজুর রহমান (৫০), রতন কুমার দেব (৫৮), মোতালেব হোসেন (৬৪), কামরুজ্জামান (৪২) ও মোহাম্মদ সরোয়ার (৪৮)।
এর আগে গতকাল দুপুর সোয়া ২টায় তারা মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যেতে চাইলে শিক্ষা ভবন মোড়ে বাধা দেয় পুলিশ। এরপরই সড়কে বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধের পর সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা। পুলিশ বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ জলকামান, টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে। পরে আন্দোলনকারীরা দোয়েল চত্বরের দিকে সরে যান। এক পর্যায়ে যান চলাচলও স্বাভাবিক হতে শুরু করে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিডিআরের চাকরিচ্যুত সুবেদার ও লক্ষ্মীপুর সদর থানার বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, আমরা চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষা ভবনের সামনে থেকে সচিবালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলাম। শিক্ষা ভবন মোড়ে পুলিশ বাধা দেয়। পরে ব্যারিকেড ভাঙতে গেলে পুলিশের লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেডে অনেকে আহত হয়েছি। ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ ফারুক জানান, শিক্ষা ভবনের সামনে থেকে আহতাবস্থায় নিয়ে আসা বিডিআরের চাকরিচ্যুত সাত সদস্যকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়েছে। এতে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। আমি নিজেও সামান্য আহত হয়েছি।’