স্ত্রীই তার স্বামীর আসল চরিত্র কেমন, তা সঠিকভাবে বুঝতে পারেন। স্ত্রীর কাছে আসল চরিত্র লুকানো যায় না, একদিন না একদিন স্ত্রীর কাছে তার (স্বামী) আসল চরিত্র ধরা পড়বেই। তাই কোনো মানুষের চরিত্র ভালো না মন্দ সে ব্যাপারে সঠিক মন্তব্য করতে পারে তার স্ত্রীই। রসুল (সা.) ইরশাদ করেন, তোমাদের মধ্যে সে-ই উত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম। আমি আমার স্ত্রীর কাছে উত্তম। এটা একটা চ্যালেঞ্জের মতো যে আমি আমার স্ত্রীর কাছে ভালো অর্থাৎ আমার কোনো স্ত্রী আমার কোনো দোষ বলতে পারবে না। এই একটা হাদিস থেকে বোঝা যায়, রসুল (সা.)-এর চরিত্র বা আদর্শ কেমন ছিল।
রসুল (সা.)-এর পারিবারিক জীবন কেমন ছিল? রসুল (সা.)-এর স্ত্রীগণ তাঁর ওপর খুশি, সব স্ত্রী তাঁর চরিত্রে মুগ্ধ, সব স্ত্রী তাঁর ভক্ত। কোনো স্ত্রীই রসুল (সা.)-এর প্রতি কোনো অভিযোগ করার সুযোগ পাননি। রসুল (সা.)-এর পারিবারিক জীবনের আচার-আচরণ সম্পর্কে হাদিসের কিতাবে যেসব বর্ণনা এসেছে, সেগুলো অনুসন্ধান করলে দেখা যায়, রসুল (সা.) তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে কতটা সদ্ভাব রক্ষা করে চলতেন বা কীভাবে মনোরঞ্জন করে চলতেন। পবিত্র কোরআনুল কারিমে স্ত্রীদের সঙ্গে সদ্ভাব রক্ষা করার ব্যাপারে যে আদেশ দেওয়া হয়েছে, তা রসুল (সা.)-কে তাঁর পারিবারিক জীবনে স্ত্রীদের সঙ্গে তার বাস্তবায়ন ঘটিয়েছেন।
► মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিন