স্ত্রী লামিয়া আক্তার চার বছরের শিশু আবদুলাহ ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারকে একাই খুন করেছেন ইয়াছিন। রিমান্ডে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানিয়েছেন লামিয়ার স্বামী ইয়াছিন। ওসি শাহীনুর আলম বলেন, রিমান্ডে ইয়াছিন স্বীকার করেছে তিনি একাই তিনজনকে হত্যা করেছেন। কারণ হিসেবে জানান, ৮ এপ্রিল রাতে ইয়াছিন ও লামিয়ার মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় লামিয়ার বড়বোন মানসিক রোগী স্বপ্না বঁটি হাতে ইয়াছিনের দিকে তেড়ে আসে। ইয়াছিন স্বপ্নার হাত থেকে বঁটি কেড়ে নিয়ে লামিয়ার ঘাড়ে কোপ দিয়ে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পরে স্বপ্নাকেও কুপিয়ে এবং শিশু সন্তান আবদুল্লাহকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন ইয়াছিন। এরপর লাশ বস্তায় ভরে রাস্তার পাশে ইটসুরকির স্তূপের নিচে চাপা দেন এবং রক্তমাখা জামাকাপড় ও বঁটি বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলেন।
১১ এপ্রিল স্থানীয়রা একটি হাত দেখতে পায় এবং ইটসুরকির স্থান থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ, পিবিআই ও সিআইডিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাশ তিনটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় লামিয়ার আরেক বোন মুনমুন বাদী হয়ে ইয়াছিন তার বোন শিমু ও বাবা দুলালকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পুলিশ ইয়াছিনকে গ্রেপ্তার করে ১২ এপ্রিল ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠালে বিচারক পাঁচ দিন মঞ্জুর করেন। ওসি বলেন আসামিকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মুনমুন আক্তার জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়ায় তাদের বাড়ি। একই এলাকার দক্ষিণপাড়ার দুলালের ছেলে ইয়াছিনের সঙ্গে পাঁচ বছর আগে পারিবারিকভাবে লামিয়ার বিয়ে হয়। ইয়াছিন কোনো কাজকর্ম করতেন না এবং মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। নেশার টাকার জন্য লামিয়াকে মারধর করতেন। স্বামী-স্ত্রী বনিবনা না হওয়ায় লামিয়া আলাদা বাসায় থেকে স্থানীয় গার্মেন্টে চাকরি করতেন।