দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা খাতার পৃষ্ঠপোষকতায় উদযাপিত হলো সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ ললিতকলা কেন্দ্রের বর্ষপূর্তি, বর্ষবরণ ও ঈদ পুনর্মিলনী। গতকাল সন্ধ্যায় নাটক সরণি-খ্যাত বেইলি রোডের গাইড হাউস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এ বর্ণাঢ্য আয়োজন। আলোচনা, যোগব্যায়াম, নাচ, গান, যন্ত্রসংগীত, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন ও পুরস্কার বিতরণসহ নানা আয়োজনে সাজানো ছিল গ্রীষ্মের সন্ধ্যার এই আসর। যোগব্যায়ামের মধ্য দিয়ে আসরের সূচনা ঘটে।
অনুষ্ঠানে ললিতকলা কেন্দ্র আবৃত্তি দল পরিবেশন করে ‘আমার দেশ’ শীর্ষক বৃন্দ আবৃত্তি। পরের পরিবেশনায় ছিল শিশুদের কণ্ঠে দলীয় গান গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্ত, আলো আমার আলো, আমরা সবাই রাজা, বরিষ ধারা মাঝে, তাওহীদের ওই মুরশিদ আমার মোহাম্মদের নাম, নিঠুর মনহর, সকাতরে ওই ইত্যাদি গানগুলো।
এককভাবে ‘তুমি আমার সুরের আলো’ গেয়ে শোনায় আফরা তাফান্নুম, কেমনে চিনি গো তোমারে গেয়ে শোনায় সাবিহা তুষ্টি। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মজার কবিতার দলীয় আবৃত্তিতে অংশ নেয় খুদে শিল্পীরা। এরপর একক আবৃত্তি পর্বে ‘এলো বৈশাখ, বাজে ঐ শাখ’ আবৃত্তি করে ভবানী, আবল তাবল আবৃত্তি করেন সুকুমার রায়, জীবনানন্দ দাশের আবার আসিব ফিরে আবৃত্তি করেন মাত্রা রেজা।
বর্ণিল এই আসরে রুমঝুম রুমঝুম, হারে রে রে আমায়, ভূতের রাজা দিল বর গানগুলোর সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে ললিতকলা কেন্দ্রের খুদে শিল্পীরা। এ আসরের চিত্রাঙ্কন পর্বে অংশ নেয় ছোট্ট সোনামণিরা।
সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ এ বি এম মসিউল হোসেনের সভাপতিত্বে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার ফাঁকে ফাঁকে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন সাবেক সচিব ও রবীন্দ্র গবেষক ভূঁইয়া শফিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের অধ্যাপক কাওসার হোসেন টগর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. প্রিয়াংকা গোপ, একুশে পদকপ্রাপ্ত বাচিকশিল্পী ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়, সংগীতশিল্পী ফাহিম হোসেন চৌধুরী, যোগব্যায়াম বিশারদ কুশল রায় জয় ও বসুন্ধরা গ্রুপের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মাসুদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের বিভিন্ন প্রোডাক্ট সমৃদ্ধ গিফট প্যাকেট উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়।