ইরান, চীন এবং রাশিয়ার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠেয় যৌথ মহড়া 'সামুদ্রিক নিরাপত্তা বেল্ট ২০২৫' সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডার বলেছেন,"কিছু মানুষ হ্যালুসিনেশনে আক্রান্ত।"
ইরান, চীন এবং রাশিয়ার অংশগ্রহণে 'সামুদ্রিক নিরাপত্তা বেল্ট ২০২৫' শীর্ষক মহড়াটি উত্তর ভারত মহাসাগরে অনুষ্ঠিত হবে। এতে পর্যবেক্ষক দেশ হিসেবে আজারবাইজান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওমান, কাজাখস্তান, পাকিস্তান, কাতার, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
পার্সটুডে জানিয়েছে, এই মহড়ার লক্ষ্য হলো উত্তর ভারত মহাসাগরে নিরাপত্তা এবং কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার করা। এর মধ্যদিয়ে সাগরে অভিযানের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান, চীন ও রাশিয়ার নৌবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও দৃঢ় হবে।
এদিকে, রাশিয়ার ডেস্ট্রয়ার "রাজখি" ও "সেদি ঝাপোভ", লজিস্টিক জাহাজ "পেচিঙ্গা" এবং চীনা নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার "বাও তু" ও লজিস্টিক জাহাজ "গাও ইউহু" যৌথ মহড়ায় অংশ নিতে উত্তর ভারত মহাসাগরে ইরানের পানিসীমায় প্রবেশ করেছে।
তিন দেশের অংশগ্রহণে মহড়া আয়োজনের সিদ্ধান্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নানা মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। গণমাধ্যমেও এই উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিমানে ফ্লোরিডা থেকে ওয়াশিংটনে ফেরার সময় ইরান, রাশিয়া এবং চীনের যৌথ মহড়া আয়োজনের বিষয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হন। একজন প্রতিবেদক তার কাছে জানতে চান তিনি উদ্বিগ্ন কিনা। এর জবাবে ট্রাম্প বলেন, "একদমই না। কারণ আমরা তাদের সবার চেয়ে শক্তিশালী।"
এ প্রসঙ্গে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহরাম ইরানি ট্রাম্পের বক্তব্যকে হ্যালুসিনেশনের প্রভাব হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, "সমুদ্রে প্রভাব রাখার মতো দেশের সংখ্যা বেড়েছে। ইরান, চীন এবং রাশিয়ার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠেয় যৌথ মহড়া নিরাপত্তার উৎস হিসেবে কাজ করবে। কিন্তু যারা এর বিরুদ্ধে কথা বলছে তারা অলীক কল্পনার মধ্যে রয়েছে। বাস্তবতা হলো, তাদের উপস্থিতি কখনো বিশ্বের কোথাও নিরাপত্তা ও শান্তি বয়ে আনেনি বরং আরো বেশি অনিরাপত্তা সৃষ্টি করেছে এবং মানব সমাজকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।
ইরানি কর্মকর্তা আরও বলেন, "এখন সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা এবং ব্রিকসের সদস্য দেশগুলো সামুদ্রিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করার ক্ষমতা রাখে।"
আন্তর্জাতিক পানিসীমায় নিরাপত্তা জোরদারে সব সময় ভূমিকা রাখছে ইরানের নৌবাহিনী। ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডারের মতে, ইরানি নৌবাহিনী সাগরে প্রায় বিশটি দেশের জাহাজকে সহায়তা করেছে। সূত্র : পার্সটুডে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ