গুণী নাট্যকার, নির্দেশক ও অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম। নিয়মিত মঞ্চ, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেন। সম্প্রতি তিনি ‘অভিনয় শিল্পী সংঘের’ নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল
অভিনয় শিল্পী সংঘের নতুন সভাপতি হিসেবে অভিনন্দন!
আপনাকেও এবং যারা সব সময় আমার পাশে ছিলেন, আছেন ও ভবিষ্যতেও থাকবেন, সবাইকে জানাই অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।
নির্বাচিত হয়ে কেমন লাগছে?
ভালোই তো লাগছে। আসলে যে কোনো অর্জনে ভালো লাগাটা স্বাভাবিক। আমার ক্ষেত্রেও তাই। তবে দায়িত্ব বেড়ে গেল আর কি। আমি মনে করি, আমরা সবাই বন্ধু। জিতেছে একুশ, হারেনি কেউ।
এমন বিজয় কি প্রত্যাশিত ছিল?
প্রত্যাশিত বলব না, তবে আমি কারও কারও কাছ থেকে ভীষণভাবে অনুপ্রেরণা পেয়েছি। আমি প্রথমে রাজি ছিলাম না ইলেকশন করার জন্য। কিন্তু কারও কারও কথায় বা কারও কারও উপদেশ-অনুরোধ, এগুলোকে আমি আমলে নিয়েছি।
অভিনয় শিল্পী সংঘ নিয়ে সামনে পরিকল্পনা কী?
শিল্পীদের একটা বিষয়ে আমার অবজারভেশন হচ্ছে- স্কিল ডেভেলপমেন্ট করা। এটা একটা সমস্যা আছে। আর কে আসলে শিল্পী সেটাও একটা সমস্যা। অনেকেই এ শিল্পে কাজ করছে, কিন্তু কোনো প্রস্তুতি নেই। সো, তেমন করে উন্নয়ন হয়নি অভিনয়ে। আর ইন্ডাস্ট্রিতে মুষ্টিমেয় লোক কাজ করে, যাকে কেউ সিন্ডিকেট বলে। সম্পর্ক উন্নয়ন করে কাজ করে তারা। সে কারণে কিছু আর্টিস্ট ভালো থাকে, কিছু খারাপ থাকে। এগুলো নিয়ে কাজ করাটা জরুরি। আর শিল্পীদের দাবিদাওয়া নিয়ে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করা দরকার।
শুটিং হাউসসহ অনেক সমস্যা এখনো পর্যন্ত সমাধান হয়নি...
লাস্ট পাঁচ বছর ধরে এগুলো উন্নয়নের কাজ চলছে। অভিনয় শিল্পী সংঘ থেকে শুটিং হাউসগুলোকে দেখা, পর্যবেক্ষণ করা, সমস্যাগুলো সমাধান করা এবং এক ধরনের চাপ প্রয়োগ করা শুটিং হাউসগুলোকে যে, এই এই কাজগুলো করে দিতে হবে। না হলে এ হাউসে শুটিং হবে না। সেক্ষেত্রে মনে হয় অভিনয় শিল্পী সংঘ অনেকটাই সাকসেসফুল হয়েছে।
শিল্পী বলতে আপনি কাদেরকে মনে করেন?
প্রথমত সে শিল্পী; সে কোনো রাজনৈতিক দলের না। সে রাজনীতি সচেতন হবে কিন্তু রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করবে না।
অভিনয়কে পেশা হিসেবে নিলে যেসব ভাবনা দরকার...
অভিনয়কে পেশা হিসেবে নিলে আপনি নিশ্চিত জীবনযাপন করতে পারবেন কি না, এর সঙ্গে অনেক কিছু জড়িত। প্রথম যেটা সেটা হচ্ছে আপনি প্রস্তুত কি না এটাকে পেশা হিসেবে নেওয়ার জন্য। আপনার স্কিল ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে কি না। এর মধ্যে অনেকগুলো ফ্যাক্ট কাজ করে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- নিজের উৎকর্ষ সাধন করা।
থিয়েটার আর্টিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বেও আপনি...
আসলে এ অ্যাসোসিয়েশনের উদ্দেশ্য হলো নাট্যশিল্পীদের অধিকার বাস্তবায়ন। ঢাকা মহানগরীর থিয়েটার চর্চায় মঞ্চে এবং নেপথ্যে যুক্ত শিল্পীদের অধিকার, স্বার্থ ও দাবি, কল্যাণ, পারস্পরিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ, শৈল্পিক দক্ষতা উন্নয়নে প্রতিনিধিত্ব করাই হলো সংগঠনটির মূল লক্ষ্য।