ঋতু চক্রের পথ পরিক্রমায় আর কদিন পরেই পহেলা বৈশাখ। পহেলা বৈশাখকে ঘিরে রংপুর অঞ্চল থেকে বিলুপ্ত প্রায় হালখাতার প্রচলন। সেই সাথে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ বৈশাখি মেলা। গ্রামীণ এসব ঐতিহ্যের স্থানের এসেছে আধুনিক মেলা। যা আগের মত মানুষের হৃদয়কে টানে না। শহরে মেলায় লোকজনের সমাগম থাকলেও এখন সাড়া জাগানো সেই মেলা আর চোখে পড়ে না। বাঙালি সংস্কৃতির ধারক ও বাহক ব্যবসায়ীদের হালখাতা হারিয়ে যেতে দেখে অনেকেই দীর্ঘশ্বাস ছাড়ছেন।
প্রবীণ ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, কয়েক দশক আগেও বৈশাখকে ঘিরে রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জসহ কয়েকটি স্থানে জাকজমকভাবে মেলা হত। মেলায় দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসতো। মেলাকে সামনে রেখে কিছু কিছু ব্যবসায়ী কয়েক মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতেন। মেলায় মৃৎ শিল্পসহ অনেক লোকজ শিল্প পসরা বসতো। এখন আর এসব নেই।
রংপুরের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান কাজী মোঃ জুননুন হারিয়ে যাওয়া মেলা প্রসঙ্গে বলেন, মেলায় ছেলে মেয়েরা বায়না করতো নাগরদোলা, সাকার্স, যাত্রাপালা, পুতুল খেলা দেখতে। অভিভাবকরা মেলায় তাদের ছেলে মেয়েদের আব্দার পূরণ করতো। কিন্তু এখন আর সেসব দেখা যায় না। সরকারিভাবে পহেলা বৈশাখ পালন করা হলেও তার মধ্যে প্রকৃত মেলার আমেজ নেই।
প্রবীণদের মতে তিন থেকে চার দশক আগেও রংপুর জেলায় বিভিন্ন উপজেলায় পহেলা বৈশাখকে ঘিরে প্রায় ৩০০ শতাধিক স্থানে মেলা বসত। ওইসব স্থানে এখন মেলা হয় না।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন