ভাঙ্গায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কুমারখালী গ্রামে শুক্রবার রাতে। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ওসি আশরাফ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কোনো পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকাবাসী জানান, কুমারখালী গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুটি পক্ষের বিরোধ রয়েছে। তাদের মধ্যে নানা কারণে মাঝেমধ্যেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন আবু তারা মাতুব্বর। অপর পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন নুর হোসেন মাতুব্বর। শুক্রবার সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী আজিমনগর মোড়া নামক স্থানে খালের সেতুর ওপর নুর হোসেন ও প্রতিপক্ষের মোখলেছের তর্কবিতর্ক ও হাতাহাতি হয়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ান। আবু তারার পক্ষের মোকলেছ মাতুব্বর বলেন, বিনা কারণে নুর হোসেন ও তার লোকজন আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। আমাকে কুপিয়ে জখম করেছে। খবর পেয়ে আমার পক্ষের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরও মারধর করা হয়। নুর হোসেন বলেন, আবু তারা ও মোখলেছ হত্যা মামলার আসামি। কয়েক বছর আগে তারা আমাদের দলের নাসির মাতুব্বরকে খুন করে। হত্যা মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। তারা স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য চাপ দেয় ও আমাদের ওপর আক্রমণ করে।