কিশোরগঞ্জের নিকলীতে একটি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে ফেলার পর দিন আবার সেখানে ইট পোড়ানো শুরু করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গড়ে তোলা হয়েছে নতুন চিমনিও। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বলছে, নতুন করে চিমনি গড়া এবং ইট পোড়ানোর বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না।
নিকলী উপজেলার কুর্শা এলাকায় ফসলি জমি, গাছপালা, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি মাদরাসা ও বসতবাড়ির পাশে গড়ে তোলা হয়েছে মেসার্স আলতাফ ব্রিকস মিল। বৈধ কোনো কাগজপত্র না থাকায় ২৭ মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত ভাটাটির চিমনি গুঁড়িয়ে ইট পোড়ানো কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত যাওয়ার পর দিন আবার নতুন করে চিমনি গড়ে তুলে ইট পোড়ানো শুরু করে। আলতাফ ব্রিকসের মালিক রূপালী মিয়া বৈধ কাগজপত্র রয়েছে দাবি করে বলেন, ইটভাটা ভাঙার আগে তাদের নোটিশ দেওয়া হয়নি। আইন মেনে ইটভাটা ভাঙা হয়নি। সে কারণে নতুন করে চিমনি তৈরি করে ইট পোড়ানো হচ্ছে। বৈধ দাবি করলেও এ-সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখাতে রাজি হননি তিনি।
কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মমিন ভূঁইয়া বলেন, বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আলতাফ ব্রিকস মিলের চিমনি গুঁড়িয়ে ইটপোড়ানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নোটিশ ইস্যু না করার বিষয়ে তিনি বলেন, অবৈধ প্রমাণের পর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার আগে নোটিশ করার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। আবার চিমনি গড়ে তোলা এবং ইট পোড়ানোর বিষয়টি তারা অবগত নন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।