ভ্রাম্যমাণ পত্রিকা বিক্রেতা শাহ আলম। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ও বিজয়নগর উপজেলায় সাইকেল চেপে প্রায় আড়াইশ' পাঠকের হাতে তুলে দেন পত্রিকা। এতে প্রতিদিন ৪০ কিলোমিটার পথ ছুটতে হয় তাকে।
পত্রিকা বিক্রেতা শাহ আলমকে নিয়ে খবর প্রকাশিত হয় দৈনিক কালেরকণ্ঠ পত্রিকার অনলাইন ও ডিজিটাল ভার্সনে। পরে বিষয়টি নজরে আসে বসুন্ধরা শুভসংঘ কর্তৃপক্ষের। তাই শুভসংঘের পক্ষ থেকে শাহ আলমকে একটি নতুন বাইসাইকেল উপহার দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। আগামী সপ্তাহে তার হাতে বাই সাইকেল তুলে দেওয়া হবে।
৩৪ বছর ধরে এ পেশায় আছেন বিজয়নগর উপজেলার মেরাসানী গ্রামের বাসিন্দা মো. শাহ আলম। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় পত্রিকার সঙ্গে সখ্যতা। এ পেশায় আয় কমে গেছে। তবু মায়ার বাঁধনে আটকে আছেন।
শাহ আলমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। দুজন কলেজে, দুজন মাদরাসায় ও একজন স্কুলে পড়ে। আয় কমে গেলেও এ পেশায় আজীবন থাকাতে চান তিনি।
সাইকেল পাবেন শুনে বেশ খুশি শাহ আলম। তিনি বললেন, 'বসুন্ধরা শুভসংঘের পক্ষ থেকে আমার পছন্দমতো সাইকেল কিনতে বলা হয়েছে। আমি একটি দোকানে অর্ডার করেছি। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে পাবো।'
তারপেশা সম্পর্কে বলেন, '১৯৯১ সালে আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। হরষপুরের একটি পত্রিকা দোকানে বসতাম। দোকান মালিক বললো কয়েক জায়গায় পত্রিকা দিয়ে এলে প্রতি মাসে আমাকে ৩০০ টাকা দিবে। আমি রাজি হই। তখন যানবাহনের এত সুবিধা না থাকায় মাইলের পর মাইল হেঁটে পত্রিকা বিলি করতাম। এরপর থেকে এটাকে পেশা হিসেবে নিয়েছি।'
বিডি প্রতিদিন/মুসা