বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষে যুগ যুগ ধরে সৌহার্দ ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে। বিএনপি সেই বন্ধন অটুট রাখতে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ।’ হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গত রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বাণীতে তিনি এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। বাণীতে তারেক রহমান হিন্দুধর্মাবলম্বী ভাই-বোনদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁদের অব্যাহত কল্যাণ, সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করেন।
তিনি বলেন, ‘হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মতে জন্মাষ্টমী ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং দুষ্টদের বধ করে এ পৃথিবী পাপমুক্ত করেছিলেন। আবহমানকাল ধরে এ ধর্মীয় উৎসবটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে। উৎসব সর্বজনীন ও সম্প্রদায়গত বিভাজন সংযুক্ত করে মানুষকে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ করে। সব ধর্মের মর্মবাণী হলো সম্প্রীতি, মানবকল্যাণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। যুগে যুগে ধর্মপ্রচারকরা মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথ দেখিয়ে গেছেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পাপীদের দূর করার জন্য অনেক মহৎ কাজ করেছেন। তিনি অন্যায়, অনাচার ও দুঃশাসন দমন করে পৃথিবীতে ন্যায়, সত্য ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করে সমাজে সদাচারী ও নিরপরাধ মানুষদের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্বস্তি দান করেছিলেন।’ বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘গণবিরোধী স্বৈরশক্তি দেশে দেশে মানুষের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের খড়্গ নামিয়ে আনে। শ্রীকৃষ্ণের বাণী ও কৃতকর্ম অনুসরণে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের শিক্ষা থেকে অসহায় ও মজলুম মানুষ প্রেরণা লাভ করবে। ধর্মীয় সহিষ্ণুতা বাংলাদেশের সংস্কৃতির অনুষঙ্গ। সুপ্রাচীনকাল থেকেই বাংলাইেশরা কখনোই ঔদার্য, পারস্পরিক শুভেচ্ছাবোধ ও অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা হারায়নি।’