রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেসে কোভিড-১৯ বিষয়ক এক বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) আয়োজিত এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. মোফাজ্জল হোসেন, যিনি বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন।
সেমিনারের শিরোনাম ছিল- “কোভিড-১৯ বিশ্বমহামারি: করোনা ভাইরাস তড়িৎ সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া, বৈজ্ঞানিক মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ প্রেক্ষাপট”। এতে সভাপতিত্ব করেন ড. পারভেজ হাসান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইবিএসসি-এর সাবেক পরিচালক অধ্যাপক (অব.) মোঃ সোহরাব আলী, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আনিসুর রহমান ও অধ্যাপক নুরুল ইসলাম। তাদের গভীর পর্যবেক্ষণ ও মন্তব্য সেমিনারটিকে করে তোলে আরও প্রাণবন্ত ও অর্থবহ।
সেমিনারে শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়। ড. মোফাজ্জল হোসেনের বিজ্ঞানসম্মত ও মানবিক উপস্থাপনায় উঠে আসে কোভিড-১৯ ভাইরাসের উদ্ভব, বিবর্তন, ভ্যাকসিন প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং ভবিষ্যতের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলোর বিস্তারিত বিশ্লেষণ।
বক্তব্যে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ আমাদের শিখিয়েছে পৃথিবী কতটা সংযুক্ত, এবং বিজ্ঞানের প্রতি আস্থা ছাড়া কোনো জাতি টিকে থাকতে পারে না। এই ভাইরাস কেবল একটি রোগজীবাণু নয়, এটি ছিল এক সামাজিক, অর্থনৈতিক ও মানবিক অভিঘাত- যার মোকাবিলা বিজ্ঞান দিয়েই সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশে ফিরে এসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিদ্যাপীঠে কথা বলার সুযোগ পেয়ে ড. মোফাজ্জল হোসেন নিজের আনন্দের কথাও তুলে ধরেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশ আমার শিকড়। এই মাটি ও মানুষের মাঝে ফিরে আসতে পারা এবং এখানকার শিক্ষক ও গবেষকদের চিন্তা ও কৌতূহল প্রত্যক্ষ করতে পারা সত্যিই গর্বের।
সেমিনারের প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষক ও গবেষকরা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণা, ভবিষ্যতের ভাইরাল মহামারির পূর্বাভাস ও বিজ্ঞানের নীতিনির্ধারণে ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রাখেন। ড. হোসেন অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেন।
সেমিনারটি কেবল একটি বক্তৃতায় সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এটি ছিল এক অনন্য বুদ্ধিবৃত্তিক বিনিময়- যেখানে বিজ্ঞান ও মানবিকতা হাত ধরে হাঁটল ভবিষ্যতের সম্ভাবনার পথে। বক্তব্য শেষে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে সেমিনার শেষ করেন ড. মোফাজ্জল হোসেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ/এলটি