পার্ক দে প্রিন্সে প্রথমার্ধটা ছিল একদমই নির্জীব—গোলের দেখা নেই, ছন্দহীন লড়াই। কিন্তু বিরতির পর যেন অন্য রূপে ফিরল ফ্রান্স। দিদিয়ের দেশঁর দল ঝড় তুলল আক্রমণে, আর তাতেই ইউক্রেনকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়ে নিশ্চিত করল ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট।
৫৫ মিনিটে সুযোগ আসে ফ্রান্সের। বক্সে মিখায়েল ওলিসেকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। ইউক্রেন গোলরক্ষক অ্যানাটোলি ট্রুবিন ডানদিকে ঝাঁপ দিলে কিলিয়ান এমবাপ্পে ঠান্ডা মাথায় মাঝ বরাবর দারুণ প্যানেনকা শটে দলকে এগিয়ে নেন—১-০।
এর আগে ইউক্রেন পেতে পারত পেনাল্টি। উপামেকানোর চ্যালেঞ্জে ভিএআর দেখা হলেও সিদ্ধান্ত বদলাননি রেফারি স্লাভকো ভিনচিচ। সেই হতাশা কাটিয়ে ওঠার আগেই ম্যাচ পুরোপুরি চলে যায় ফরাসিদের নিয়ন্ত্রণে।
এরপরও একাধিক সুযোগ তৈরি করে এমবাপ্পে, যদিও কিছুটা অপচয়ও ছিল। তবে ফ্রান্সের চাপ থামেনি। ৭৬ মিনিটে এন’গোলো কান্তের থ্রু বল ধরে ডি-বক্সে দারুণ কার্ভ শটে ব্যবধান ২-০ করেন ওলিসে।
৮৩ মিনিটে আসে এমবাপ্পের দ্বিতীয় গোল। ঘন জটলার ভেতর থেকে কাছের পোস্টে আলতো টাচে বল জালে পাঠান তিনি। এটাই তাঁর ক্যারিয়ারের ৪০০তম ও ফ্রান্সের হয়ে ৫৫তম গোল। দেশের সর্বোচ্চ গোলদাতা ওলিভিয়ে জিরুকে ছোঁয়ার পথে এখন মাত্র দুই ধাপ দূরে ফরাসি তারকা।
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে আবারও আত্মত্যাগী ভূমিকা নেন এমবাপ্পে। বক্সে ফাঁকা জায়গায় পাস বাড়িয়ে দেন হুগো একিতিকে। তাঁর নিচ দিয়ে নেওয়া শট ট্রুবিনের গ্লাভস ছুঁয়ে জালে ঢুকে নিশ্চিত করে ফ্রান্সের ৪-০ বিজয়।
দ্বিতীয়ার্ধের আগ্রাসী ফুটবল, তারকা ফরোয়ার্ডের জোড়া গোল আর ধারাবাহিক আক্রমণে ফ্রান্স আবারও দেখাল কেন তারা বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট। ইউক্রেনের জন্য হতাশার রাত হলেও ফরাসিদের জন্য এটি ছিল উৎসবের উপলক্ষ।
বিডি-প্রতিদিন/সুজন