দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার পর আইসিসি কার্যত দুই স্তরের টেস্ট ক্রিকেটের ভাবনা বাতিল করেছে। এর ফলে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দেশগুলো বড় স্বস্তি পেয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে এ দলগুলো দ্বিতীয় স্তরে অন্তর্ভুক্ত হতো এবং শীর্ষ দলের সঙ্গে খেলার সুযোগ অনেকটাই সীমিত হতো।
আইসিসির ত্রিমাসিক সভায় দুবাইয়ে আলোচনা করা প্রস্তাবগুলোতে বলা হয়েছে, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরের চক্রে ১২টি পূর্ণ সদস্য দেশকেই একসঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ওয়ার্কিং গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক ব্যাটসম্যান রজার টুজ। নতুন চক্র শুরু হবে ২০২৭ থেকে ২০২৯ সালে। এতে আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডকেও অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিটি দলকে নির্দিষ্ট সংখ্যক টেস্ট খেলতে হবে, যদিও সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
ছোট দেশগুলো যেমন আয়ারল্যান্ড আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে, ফলে টেস্ট আয়োজনেও সমস্যার মুখোমুখি। তবে তাদের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তার কোনো প্রস্তাব আপাতত নেই।
ওয়ানডেতে বড় পরিবর্তন আসতে পারে। বন্ধ হয়ে যাওয়া আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগ পুনরায় চালুর প্রস্তাব এসেছে। ২০২০ সালে চালু হওয়া লিগের লক্ষ্য ছিল দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজগুলোকে আরও অর্থবহ করা এবং বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সঙ্গে যুক্ত করা। লিগটি ২০২৮ সাল থেকে পুনরায় চালু হতে পারে এবং এটি ২০৩১ সালের বিশ্বকাপের দল নির্ধারণে ব্যবহার করা হবে। আগেরবার লিগে ১৩টি দল অংশ নিয়েছিল; এবার কত দল থাকবে তা এখনও ঠিক হয়নি।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে দল বাড়ানোর পরিকল্পনা আপাতত নেই। ২০১৯ ও ২০২৩ বিশ্বকাপে ১০ দলের ফরম্যাটে আয়োজন হয়েছে, তবে ২০২৭ ও ২০৩১ বিশ্বকাপে ১৪টি দল থাকবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আপাতত ২০ দল নিয়ে চলবে, যদিও কিছু দেশ এটি ২৪ বা ৩২ দলে বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া টি-টোয়েন্টি বাছাই পদ্ধতিতে পরিবর্তনেরও আলোচনা চলছে। আইসিসি এখনও টি-টেন ক্রিকেটকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি।
পরবর্তী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত আইসিসির সভায় নেওয়া হতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক