সিরিজ নিশ্চিতে ডেভিড ও মার্কাস স্টয়নিসের ফিফটিতে লড়াইয়ের ভালো পুঁজিই পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু বল হাতে লড়াইটা তারা জমাতে পারল না। ব্যাটিংয়ে মিলিত প্রচেষ্টায় সেই রান টপকে সিরিজে সমতা আনল ভারত।
হোবার্টে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে রোববার (২ নভেম্বর) স্বাগতিকদের ৫ উইকেটে হারিয়েছে শুবমান গিলের দল। ১৮৭ রানের লক্ষ্য তারা পূরণ করে ৯ বল হাতে রেখে। এতে সিরিজে ১-১ এ সমতা এনেছে সফরকারীরা।
সিরিজের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ উইকেটে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। তাই সিরিজি টিকে থাকতে জয়ের বিকল্প ছিল না শুবমান গিলদের।
এদিন রান তাড়ায় বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও কার্যকর অবদান রেখে যান অভিষেক শর্মা (১৬ বলে ২৫), শুবমান গিল (১২ বলে ১৫), সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ (১১ বলে ২৪), তিলাক ভার্মা (২৬ বলে ২৯) ও অক্ষর প্যাটেল (১২ বলে ১৭) রান করেন।
১৪৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর আর বিপদ হতে দেননি ওয়াশিংটন সুন্দর ও জিতেশ শর্মা। ২৫ বলে ৪৩ রানের জুটিতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা।
ওয়াশিংটন অপরাজিত থাকেন ২৩ বলে ৩টি চার ও ৪ ছক্কায় ৪৯ রানে। ১৩ বলে ৩ চারে অপরাজিত ২২ রান করেন জিতেশ। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩৬ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন নাথান এলিস।
এর আগে টানা ১৮ ম্যাচ পর টস জিতে ভারত। এরপর তারা বোলিংয়ের এর সিদ্ধান্ত নেন। ব্যাটিংয়ে নেমে ১২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। নিজের টানা দুই ওভারে ট্রাভিস হেড ও জশ ইংলিশকে সাজঘরে ফেরান আর্শদিপ সিং।
সেই ধাকাটিয়ে উঠলেও ঝড় তুলতে পারেননি মিচেল মার্শ। ১৪ বলে ১১ রান করা অধিনায়ককে ফেরানোর পরের বলেই মিচেল ওয়েনকে বোল্ড করে দেন বরুণ চক্রবর্তী।
তবে টিম ডেভিড ২৩ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি। ৩৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৭৪ রান করা এই ডেভিডকে থামান শিভাম দুবে।
এরপর লড়াই চালিয়ে যান স্টয়নিস। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে করেন ৩৯ বলে ৮টি চার ও ২ ছক্কায় ৬৪ রান। ১৫ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাথিউ শর্ট। ভারতের হয়ে ৩৫ রানে ৩ উইকেট নেন আর্শদিপ। তাই ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন তিনি। অন্যদিকে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন বরুণ।
সিরিজের শেষ ম্যাচ আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) গোল্ডকোস্টে অনুষ্ঠিত হবে।