কানাডার ক্যালগেরির সেলেসটিয়া প্রোডাকশন হাউজে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে এইম ইনিশিয়েটিভ ফাউন্ডেশন (AIF)। প্রতিষ্ঠানটির এডুকেশন অ্যাডভাইজার ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর সুফিয়া ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি জানান, AIF বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হলো “স্পনসর এ চাইল্ড” (Sponsor a Child) কর্মসূচি, যার মাধ্যমে সমাজের বিত্তবান ও সহমর্মী মানুষ সরাসরি স্কুলপড়ুয়া শিশুদের সহায়তায় যুক্ত হতে পারেন।
এই কর্মসূচিতে একজন দাতা মাসে ১,৫০০ টাকা বা বছরে ১৮,০০০ টাকা সহায়তা করে একটি শিশুর মানসম্মত শিক্ষা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও দক্ষতা উন্নয়নের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিতে পারেন। সুফিয়া ইসলাম বলেন, “এই উদ্যোগ শুধু একটি শিশুর ব্যক্তিগত বিকাশ নয়, বরং শিক্ষা ও সুযোগের মাধ্যমে পুরো পরিবারের দারিদ্র্যের চক্র ভাঙতে সহায়তা করে।”
সংবাদ সম্মেলনের পর প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে এক মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির প্রেসিডেন্ট ইকবাল রহমান, সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ রফিক, সেলেসটিয়া প্রোডাকশন হাউজের কর্ণধার ডা. গুলশান আক্তার, ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ আলম, মিনু মইনুল, রিতা কর্মকার, মুশফিক, রঞ্জন নন্দী, মৌ ইসলাম, জাহিদ হক, বায়াজিদ গালিব, এবং চিত্রশিল্পী জেরিন তাজসহ কমিউনিটির অন্যান্য বিশিষ্টজন।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা দেশের অন্যান্য শিশুদের তুলনায় কোনো অংশে কম নয়; কেবল সঠিক পরিবেশ ও সুযোগের অভাবে তারা পিছিয়ে আছে। অবহেলিত শিশুদের জন্য স্থায়ী সুযোগ-সুবিধা তৈরি হলে ভবিষ্যতে তারাই হবে দেশের দক্ষ নাগরিক, যা জাতীয় উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।
বক্তারা শিশুদের সহায়তায় AIF-এর সময়োপযোগী উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং এই কার্যক্রমে যুক্ত হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল