আকারে ছোট, দেখতে চড়ুইয়ের মতো। নীলচে ডানা আর লালচে শরীর। মাথা, মাথার চাঁদি, ঘাড় ও পেট কমলা রঙের। ডানার পালক কালচে নীল, গলা সাদা। দেখতে খুব সুন্দর। কিন্তু এদের দেখা পাওয়া বিরল। বলছি বামন মাছরাঙা পাখির কথা। মাছরাঙা প্রজাতির মধ্যে এরা পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট পাখি। অঞ্চলভেদে এদের ‘বামন মাছরাঙা’ নামে ডাকা হয়। এদের ইংরেজি নাম Oriental Dwarf Kingfisher. চলতি মাসে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা বন থেকে এ বামন মাছরাঙার ছবি তুলেছেন শৌখিন ফটোগ্রাফার খোকন থৌনাউজম। তিনি বলেন, এটি প্রাচ্যে বামন কিংফিশার বা তিন পায়ের কিংফিশার নামে পরিচিত। এরা আলসেডিনিডে পরিবারের ছোট্ট আকারের পাখি। সাধারণত নিম্নভূমির বন বা জলাশয় ও পুকুরের কাছাকাছি বাস করে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভুটান, ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা এবং ভিয়েতনামে এদের দেখা যায়।
এরা বংশবৃদ্ধির জন্য বর্ষাকালে এ দেশে আসে। এদের সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের মিশ্র চিরসবুজ বনের গহিনের ছড়া ও জলাশয়ের পাশে ছায়াঘেরা স্থানে দেখা যায়। কখনো একাকী, কখনো জোড়ায় বিচরণ করে।
এরা প্রজননের সময় ৩ থেকে ৭টি ডিম দেয়। বাচ্চা ফুটতে ১৭ থেকে ১৮ দিন লাগে। আর ১৮ থেকে ২০ দিন পর ছানার পালক গজায়। পরে ছানাগুলো বাসা থেকে বেরিয়ে উড়তে শুরু করে।
স্ত্রী ও পুরুষ দেখতে এক হলেও পুরুষ পাখিরা খানিকটা বড় হয়। এরা পোকামাকড়, মাকড়সা, কীট, কাঁকড়া, মাছ, ব্যাঙ ও টিকটিকি খেয়ে বাঁচে।