মার্কিন নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনের সময় আল-কায়েদার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, তার কর্মকাণ্ডের লক্ষ্য ছিল অভিজ্ঞতা অর্জন ও ইরাকিদের রক্ষা করতে।
তবে পরবর্তী সময়ে দলটির সঙ্গে তার মতবিরোধ তৈরি হওয়ায় সম্পর্ক ছিন্ন করেন। একই সঙ্গে বর্তমানে তাদের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেছেন।
মঙ্গলবার ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
আল-শারা বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা বা সামর্থ্য না থাকায় যেখানেই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারি সেখানেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
আল‑শারা আরও বলেন যে, তার বর্তমান দায়িত্বে তিনি সিরিয়ার রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা প্রেক্ষাপটে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করতে মনোনিবেশ করেছেন।
আল-শারা গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সিরিয়ান নেতা হিসেবে এক ঐতিহাসিক সরকারি সফর করেন। পরে ১০ নভেম্বর হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন।
তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই আল-কায়েদা কমান্ডার জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে আল-কায়েদা ইস্যুতে কোনো কথা হয়নি তার।
এদিকে ইরাকি বিচার সংস্থার সূত্র নিশ্চিত করেছে, আল-শারার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস সংক্রান্ত অপরাধের জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আছে। তবে আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরাকের ক্ষমা আইন তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
১৪ বছরের গৃহযুদ্ধের পর হঠাৎ আক্রমণে স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসেন ৪২ বছর বয়সী আল-শারা।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর
বিডি-প্রতিদিন/এমই